তোমাকে ভাবাবোই সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বলে 'আমিনির সমান অপরাধ' করলেও 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্মান করে' খালেদা জিয়াকে আদালতে তলব করা হয়নি বলেছেন হাইকোর্ট। ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে সংবিধান নিয়ে কটূক্তির মামলার শুনানির আদেশে মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালত বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিচারিক বিবেচনায় নিয়েছে। আমিনীর মন্তব্যের মতো তার মন্তব্যও সমান অপরাধমূলক।
'এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাও' :
সংবিধান দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক- এ কথা উল্লেখ করে আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, 'সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা দেওয়া সার্বভৌমত্বকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার সামিল।
এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাও। 'যারা এ ধরণের বক্তব্য দেয় তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ। সংবিধানের একটা অংশের সমালোচনা করা আর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া এক বিষয় নয়। '
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানে যোগ হওয়া ৭ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সংবিধান বা এর কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা নষ্ট করার প্রক্রিয়া চালালে বা সমর্থন করলে তা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হবে। এই অপরাধের জন্য প্রচলিত আইনের সর্বোচ্চ দণ্ড প্রযোজ্য হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
'বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আমিনীর বক্তব্যের পার্থক্য খুব অল্প,' উল্লেখ করে আদালত বলে, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্মান করে আমরা বিরোধী দলীয় নেত্রীকে তলব করিনি। তবে 'আশা করি, ভবিষ্যতে সংবিধান সম্পর্কে কথা বলতে যে কেউ সতর্কতার সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। ' আদেশে আরো বলা হয়, 'আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, এ ধরনের বক্তব্য ভবিষ্যতে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
''তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে' :
আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, 'আমরা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে শুনানি করছি।
যদি কোনো লোক সংবিধানকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে চান, তাহলে এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাহলে তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 'কোনো দেশপ্রেমিক এ ধরনের কোনো কথা বলতে পারেন না। যারা বলেন, তারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। তারা বিশ্বাস করেন অন্য কিছুতে।
' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।