বাংলাদেশের একজন সাবেক সামরিক অফিসার কটাক্ষ করেই মন্তব্য করেছেন, দুই নেত্রীর রাজনৈতিক সুনাম ও প্রজ্ঞা নিয়ে !এই সাবেক সামরিক আমলা মন্তব্য করেছেন, “ গণতন্ত্রের এ অবস্থা হবে জানলে ক্ষমতা নিতাম। ” বিগত সামরিক সরকার গুলোর মতো দেশটাকে সামরিক দখলদারীর তীর্থক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা মাত্র। বেচারা হয়তো ভুলে গেছেন সামরিক কিম্বা বেসামরিক উভয় কর্মচারী জনগনের অর্থে প্রতিপালিত। তারপরও উনার গোপন খায়েস প্রকাশ পেলো মার্কিন দূতাবাসের গোপনবার্তায়। কিন্তু এই সকল সরকারি কর্মচারীরা ভাবেননা দেশটা পিপলস্ রিপাবলিক।
উনি যে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট দায়িত্বে নিয়োগ প্রাপ্ত সংবিধানের আওতায় কর্মচারী ছিলেন এ কথা ভুলে গেছেন !
একদা তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে সামরিক শাসন ছিল, ‘কলেরার সেলাইন’ রাষ্ট্র পরিচলনার চিকৎসা ব্যবস্থার দাওয়াই, দখলদার সাম্রাজ্যবাদের কাছ থেকে বেশীর ভাগ অবমুক্ত হওয়া স্বাধীন দেশগুলো। একমাত্র ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি “পূঁজির” বিকাশ ঘটেনি। ফলে সকল নব্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় ‘জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র’ বোল-চালের লীলাভূমিতে পরিনিত হয়। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বিপ্লবী শাসকগণ স্থানীয় পূঁজিকে নিগৃহীত করতেন সমাজতন্ত্রের নামে বিগত প্রভুর বাজার ও পূঁজির রক্ষার জন্যে। এই সকল দেশগুলোর গলায় সামরিক সরকারের মালা শোভা পেত জাতীয় পূঁজির বিকাশ এবং জাতিকে উদ্ধারের নামে।
সকল সামরিক আশ্রীত পরিবর্তণীয় দেশগুলোর মধ্যে বেশ কিছু দেশ অগ্রসর হতে পেরেছে বা অনেকে পারেনি।
এই সাবেক সামরিক অফিসারের গোপন খায়েস উইকিলিকসের ফাঁস করা ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কূটনৈতিক তারবার্তায় এসব কথা বলা হেয়েছে। এতে বলা হয়, ২০০৬ সালের মে মাসে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে এ কথা বলেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খান। ৩১ মে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয় তারবার্তাটি। উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত রাজনীতি, প্রকারান্তে দেশের উৎপাদন ও বাজার বিরোধী ভূমিকায় অবস্থান নিয়েছে জন্মলগ্ন থেকে ! বর্তমানে পিপলস্ রিপাবলিক যে কিংডমের প্রেত্মাতা গিলে ফেলেছে, তা বুঝার মতো বুদ্ধিজীবী রাষ্ট্রের এতিমখানাগুলোতে নাই।
অথচ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত, পিপলস্ রিপাবলিক অব বাংলাদেশ আছেই কেবল সংবিধানের কাগজপত্রে।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত জন প্রতিনীধি ক্ষমতাশীন হলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্তী ভাবতে থাকেন। অথচ ভোটের আগে মহাজোট কখনও বলে নাই যে, ক্ষমতায় গেলে পানি ও বাজার না পেলেও ভারতকে ‘সাত বোন’ রাজ্যগুলোতে উন্নয়নের যন্ত্রপাতি জামাই আদরে পার করতে দেওয়া হবে। সুদেদাসী বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থ বরাদ্দ প্রত্যাহার করেছে, কাজের আগেই দুর্নীতির তক্মা দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রকের নামে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যত প্রচার বাস্তবে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানী দেনাদার হচ্ছে ভর্তুকির চোরাবালিতে।
ব্যবসায়ীরা উৎপাদন ব্যয় ও মুনাফার পরিবর্তে ভোক্তা নামক জনগণকে লুঠ করছে সিন্ডিকেটের আওতায়।
এমনতরো রাষ্ট্রের প্রতিপালিত সাবেক সামরিক কর্মচারীর খায়েস হতেই পারে ক্ষমতা দখলের। কারণ কৈফিয়াত চাওয়ার মতো কোন জন-প্রতিনিধি নাই ! আর আছেন যারা, তাঁরা সব গণ-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছেন। তা যদি না হবে, কেন কৈফিয়াত চান না তাঁরা ? এই ভাগাড় সাফ করার দায়িত্ব জনগণ আগামীতে কোন রাজনীতিকে দেবেন দেখার বিষয় !
লেখাটি খুলনা জার্নালে পুর্বে প্রকাশিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।