জল, জঙ্গল এবং নারী এ তিনটি কে আগের যুগের মানুষরা খুব ভয় পেতেন। কথাটি দাদা-চাচাদের মুখে শুনেছি। কথাটি তেমন বিশ্বাস না করে উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে আজকাল অহরহ। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, হুমায়রা তাঁর শিশুকে হত্যা করে পরকীয়া আসক্ত হয়ে।
শুধু সেক্সের বশীভূত হয়ে এ কাজ করেছিল বলে মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জেনেছি। নারীর ব্যাপারে বললাম। গর্তে জল দেখে বলতে নেই যে, ওই গর্তে কম জল আছে, জঙ্গল দেখে বলতে নেই যে, ওই জঙ্গলে কোন হিংস্র প্রাণী নেই।
গত ২ জানুয়ারী বরিশাল থেকে প্রকাশিত বরিশাল নিউজ নামক দৈনিকে একটি চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খবরটি হচ্ছে, ৪ বছর আগে তালাক দিলেও যৌতুক মামলা।
৪ বছর আগে তালাক দেয়া স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কারাভোগ করছে বিদেশ ফেরত একজন। বরিশাল আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদার ১৩ বছর আগে বিয়ে করেছিল একই গ্রামের আনজুকে। ২০০৪ সালে সিদ্দিক হাওলাদার বিদেশ চলে যাওয়ার পর ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট আনজু তার স্বামীকে তালাক দেয় এবং সাগর নামে অপর এক যুবকের সাথে পূনরায় বিয়ে বসে। ঘটনাটি সে সময় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। সিদ্দিক গত ১ নভেম্বর প্রবাস থেকে জন্মভূমিতে ফিরে আসে এবং গত ৮ ডিসেম্বর সীমা নামে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করে।
বিয়ের ২ সপ্তাহ পেরিয়ে না যেতেই
দীর্ঘ ৪ বছর পর আনজু যৌতুকের অভিযোগ এনে গত ২০ ডিসেম্বর সিদ্দিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ ২৪ ডিসেম্বর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এ দিকে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহলে সৃষ্টি হয়েছে। আসলে সাবেক স্ত্রী আনজুর উদ্দেশ্য কি ? টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া নাকি আবারও ফিরে যাওয়ার আকাঙ্খা করছিল? তালাক দেওয়ার ৪ বছর পর মামলা করায় অনেক পুরুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। কারণ, এখন যে কোন তরুণী সে শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক ভেবে চিন্তে বিয়ে না করলে এ রকম পরিণতি হতে পারে।
তবে অনেক নারী চায় না যে, তার প্রিয়তম স্বামী স্ত্রীকে রেখে বিদেশে থাকুক। যে সব স্ত্রী বা পুরুষ তাদের স্বামী বা স্ত্রীকে রেখে বিদেশে জীবন কাটান তাদেরই পরিবারে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমাদের চাপাইনবাবগঞ্জে ভদ্র, উচ্চ বংশীয়, উচ্চ শিক্ষিত ফ্যামিলির এক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি প্রায় ৩ যুগ আগে জাপানে গিয়েছিল চাকুরি করতে। রেখে গিয়েছিল প্রাণের প্রিয়তমা স্ত্রীকে।
ভালবেসেও বিয়ে করেছিল। স্ত্রী ঠিকই চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতো নিয়মিত। ওই ভদ্র লোক অর্জিত টাকা সব পাঠাতো স্ত্রীর কাছে। এদিকে স্ত্রী অন্য এক পুরুষের পরকীয়া আসক্ত হয়ে শুধু অভিনয় করতো । প্রায় ১০ বছর পর ওই ভদ্র লোক দেশে ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী অন্য প্রেমিকের হাত ধরে সন্তান সহ চলে গেছে।
এখন উপায় । কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে পাশ্ববর্তী এক বেসরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে জীবিকার তাগিদে। পরবর্তীতে তালাক প্রাপ্তা আরেক শিক্ষিত সুন্দরী নারীকে বিয়ে করে। বিবাহিত জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
কন্যা সন্তানটির বিয়েও দিয়েছে এক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সাথে। শুনেছি নাকি ওই ভদ্র লোক এখনও পূর্বের স্ত্রীর লগে দেখা করতে যায় । কিন্তু কি হবে, সাবেক স্ত্রীর মন গলাতে পারে নি।
তাই পরিশেষে আপনাদের বলতে চাই, যারা প্রবাসে আছেন স্ত্রীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ যেমন রাখবেন তেমনি খোজ খবর নিবেন যে, স্ত্রী কি পরকীয়াতে আসক্ত নাকি স্বকীয়ভাবে স্বামীর জন্য ভালবাসা হৃদয়ে জমিয়ে রেখেছে। স্বামী আসলেই সঞ্চিত ভালবাসা স্বামীকে উপহার দিবে।
এ ছাড়াও একটি কথা না বলে পারছি না যে, সব টাকা স্ত্রীর হাতে তুলে দিবেন না। নইলে সর্বনাস ডেকে আনতে পারে। ঘটনাটি শুনে খারাপ লাগায় আপনাদের নিকট সিয়ার করলাম। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে রয়েছে আরো ঘটনা..........................।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।