আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোজার মাসেও যদি অন্ধকারে থাকা লাগে তা হলে কেমন লাগে বলেন

working in DPL রোজার মাস জুড়েই বিদ্যু ৎ-সংকট অব্যাহত থাকবে। এ সময় প্রকৃত চাহিদার চেয়ে উ ৎপাদনের ঘাটতি দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত থাকতে পারে। চাহিদা বৃদ্ধি ও বিদ্যু ৎ উ ৎপাদনে গ্যাসের স্বল্পতাই এর কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। মন্ত্রণালয় ও বিদ্যু ৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিয়মিত লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র, দোকানপাট ও শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বিদ্যু ৎ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, এ বছর রোজার মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট।

উ ৎপাদন সম্ভব হবে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের কম। ওই হিসাবে ঘাটতি হয় এক হাজার মেগাওয়াটের মতো। কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়ে খারাপ। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো জানায়, রোজার মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা সাত হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে। অপরদিকে সর্বোচ্চ উ ৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে রাখা প্রায় অসম্ভব হবে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যু ৎ উ ৎপাদনের রেকর্ড চার হাজার ৯৩৬ মেগাওয়াট। কিন্তু কয়েক দিন ধরে উ ৎপাদন কমে সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াটেরও নিচে নেমেছে। এর প্রধান কারণ গ্যাসের স্বল্পতা। বর্তমানে বিদ্যু ৎ উ ৎপাদনে গ্যাসের দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ৯৫ কোটি ঘনফুট। কয়েক দিন ধরে সরবরাহ করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ কোটি।

এই সরবরাহ হঠা ৎ করে খুব বেশি বাড়ানোর কোনো পথ নেই। গত বছরের রোজায় বিদ্যু ৎকেন্দ্রে গ্যাসের সর্বোচ্চ সরবরাহ ছিল ৮৮ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট। এ বছর আরও কিছুটা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল পেট্রোবাংলা। এ জন্য বিদ্যমান কূপগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে উ ৎপাদন বাড়ানো এবং রোজার মাসে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ আরও দুই ঘণ্টা বেশি সময় বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। সিএনজি স্টেশন বেশি সময় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

কিন্তু গ্যাসের সামগ্রিক উ ৎপাদন বাড়ানো যায়নি। তাই বিদ্যু ৎ পরিস্থিতি সামাল দিতে লোড ব্যবস্থাপনাই সরকারের ভরসা। আধা ঘণ্টা করে লোডশেডিং: লোড ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে রোজার মাসে একটানা এক ঘণ্টার পরিবর্তে আধা ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় বিদ্যু ৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো লোডশেডিংয়ের এই ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিটি মসজিদে গিয়ে অবহিত করেছে। এ ছাড়া প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করেও তা জানানোর কথা।

বিতরণকারী সংস্থার সূত্রগুলো জানায়, আজানের সময় যেন লোডশেডিং শুরু না হয়, বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত করবেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি করতেই হয়, তাহলে যেন আজান শুরুর কিছুক্ষণ আগে কিংবা পরে লোডশেডিং শুরু করা হয়। দোকান বন্ধ আটটায়: লোড ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ২০ রমজান পর্যন্ত দোকানপাট রাত আটটায় বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে দোকান মালিক সমিতি গ্রিডের বিদ্যু ৎ ব্যবহার না করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দোকান চালু রাখবে বলে জানা গেছে। বিদ্যু ৎ-সংকটের কারণে রোজার মাসে নগরে পানি সরবরাহেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোজার কয়েক দিন আগে থেকে ঢাকায় এর আলামত দেখা গেছে। এ ছাড়া চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গৃহস্থালি পর্যায়ে পাইপলাইনের ও এলপি গ্যাসের সংকটও প্রায় অবশ্যম্ভাবী বলে সূত্রগুলো জানায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।