আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবির "নাগর"

আিমতো আিমই আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। ছোটবেলার এই কবিতা কে বা ভুলে যায়? মনে থাকে, অবশ্যই মনে থাকে। তবে জানেনা সেই নদীর কথা। যে নদীকে দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন তার এই সুন্দর কবিতাটি। নদীর নাম “নাগর নদী”।

কার মনের নাগর? হয়তো যে ভালবাসবে তারে। আত্রাই উপজেলার কালিগ্রাম মৌজায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারীর অংশ। “পতিসর” কুঠির বাড়ি তারই নিদর্শন। আর এই কুটির বাড়ির সামনে দিয়েই বয়ে গেছে এই নদী। বৈশাখ মাসে অবশ্য হাঁটুজল আর পাওয়া যায়না।

এখন জল পাওয়াই বড় দায়। দুই ধার তার উঁচু, পাড়টাও ঢালু। একেবারে কবিতার মতন। পদ্মা নদী থেকে চলন বিল হয়ে এই নদীতে এসেই কবি পেতেন তার রাখাল আর কৃষক প্রজাদের দেখা। অনেকই হয়তো জানেন না যে, নোবেল পুরষ্কার থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে কবি এখানে একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন।

কবির বাড়িতে গেলে সে সময়ে ব্যবহৃত লাঙ্গলের ফলা, কবির বসবার চেয়ার, বাথটাব, কিছু ছবি ইত্যাদি মুল্যবান জিনিসের দেখা পাওয়া যায়। তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে...... এই চমৎকার কবিতাটিও কবি এখানেই বসে লিখেছেন। কবির বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল এই গাছ। কয়েক বছর আগে ঝড়ে তা ভেঙ্গে পড়ে। তবে এখন তার বংশধর সেই সাক্ষী বহন করে চলেছে।

আমি কান পেতে রই, বঁধু মিছে রাগ করো না, জলে ডোবা চিকন শ্যামল, তুমি নবরূপে এস প্রাণে... এই গানগুলো, তাছাড়া বেশকিছু ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাসের অংশবিশেষ, বিভিন্ন চিঠি এখানে বসেই রচনা করেন। তারপরও সবকিছু ছাপিয়ে বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই নদীর ছবি, বারেবারে তার বাঁক, কবির সাথে দেখা করবে এই ভেবেই বুঝি সে কবির বাড়ির পাশদিয়ে যাবার সময়ও বাঁক নিয়েছে। আর বলেছে আমার প্রেমে তোমাদের পড়তেই হবে। নাম যে আমার “নাগর”। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.