বৃথা হয়রানি জীবনের আরেকটা পাতা উল্টে গেলো। রুদ্ধশ্বাসের মতো একটার পর একটা সিন যেন আসছে জীবনে। পত্রিকার রিপোর্টারের চাকরি দিয়ে শুরু। তারপর জীবন... `ও মোর পাগলা ঘোড়ারে'.... হ'য়ে কই থেকে কই নিয়ে যাচ্ছে...
কর্পোরেট চাকরি থেকে স্কুল মাস্টারি। এসি রুম থেকে টিনশেড ক্লাসরুম।
সাদামাটা জীবনে শেষমেশ একটা মজা পেয়ে গেলাম। বল্লাম-বেশ তো! কিন্তু তাতেও থিতু হয়া হলো না! এরাও আজ দুয়ার ভিঁজিয়ে দিল। ফেয়ারওয়েল দিয়ে দিল আমাকে।
সকাল থেকে ভাবছিলাম- সরকারি চাকরি ছাড়ছি, এতো আবেগ-টাবেগ কি, কাটা কাটা কটা কথা বলে চলে আসব। কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টো।
এই উড়নচণ্ডিপণার মাঝে কখন ভালোবাসা এসে জমা হলো টের পাইনি। আজ আমার দরিদ্র স্কুলটির সবাই মিলে একাট্টা হয়ে আমাকে কাঁদালো। হাঁপুস নয়নে কাঁদলাম... আর ভাবলাম: ভালোবাসা জিনিসটা কী ভয়ংকর!
কমন রুম ফান্ডে মাসে মাত্র ৪০০ টাকা করে জমে। এই টাকা দিয়ে টিচারদের বিদায়-বরণ হয়। মাঝে মাঝে এর ওর বিয়েতে গিফট।
তাই বিদায়ের সময় ইচ্ছে থাকলেও কাউকে তেমন কিছু দেয়া যায় না। হাহুতাশ আর অশ্রুজলই হয় আমাদের উপহার।
কিন্তু অনুষ্ঠানের একবারে শেষপ্রান্ত এসে ওরা একটা শর্টপিস ধরিয়ে দিল আমাকে (জানি না কোত্থেকে এ ফান্ড ম্যানেজ হলো)। সিনথেটিকের কাপড়। সাধারণত সিনথেটিকের কাপড় আমি পড়ি না।
গা চুলকায়। কিন্তু আমি খুব ভালো একজন দর্জি দিয়ে শার্টটা বানাব। আমার খুব দু:খের দিনে শার্টটা পড়ে জৈন্তার সেই আলো-ঝলমলে দিনগুলোর কথা স্মরণ করব। আলোর স্নানে প্রাণ সজীব হবে, সব গ্লানি মুছে যাবে, আমি নিশ্চত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।