জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা আজকে ২২শে জুলাই প্রথম আলোয় উক্ত খবরের ফলো আপ দেখে আমার মনে কিছু প্রশ্নের উদয় হয়েছ, সেটা আমার অজ্ঞতার কারন কিনা জানিনা।
লাশের ময়না তদন্ত দলের প্রধান আরএমও বলেছেন, জেনি আত্নহত্যা করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আমি যতটুকু বুঝি তাতে মনে হয় মৃত্যুর কারন নির্ধারনের মধ্যেই তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ থাকার কথা । যেমন তারা বলতে পারেন গলায় ফাঁস লাগার কারনে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়েছে, পেটে বিষ পাওয়া গেলে বলতে পারেন, বিষের বিষক্রিয়ায় হার্ট কোলাপ্স করেছে, বা ফুসফুস বন্ধ হয়েছে, বা মেটাবলিক ফাংশন বন্ধ হয়েছে বা নার্ভ সিষ্টেম বন্ধ হয়েছে বা রক্ত জমাট বেধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে মারা গেছে । কিন্তু ওনারা কিভাবে জানলেন জেনি নিজেই ফাঁস দিয়েছে ? নাকি কেউ ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে ? ঘটনার সময় কি ওনারা উপস্থিত ছিলেন ? সেক্ষেত্রে বাধা দিলেন না কেন ? তাহলেতো মৃত্যুতে সহযোগিতা করার দায় ওনাদের ঘাড়ে পড়ে।
একই ভাবে বিষ খাওয়া ভিকটিম এর ক্ষেত্রেও ওনারা হত্যা বা আত্নহত্যা বলতে পারেন না কারন বিষ খেয়েছে না খাইয়েছে ডাক্তাররা জানবেন কি করে ? বিষয়টা পুলিসি তদন্তের ব্যাপার ।
আর পুলিশ কি করে বলছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া হত্যা আত্নহত্যা বুঝা যাবেনা । আমি বিষয় গুলি বুঝতে পারছিনা ।
আরও একটি প্রশ্ন, জেনির মা ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি করে পাড়া প্রতিবেশীদের জড়ো না করে তাপুদের বাড়ী গেলেন কেন ? প্রতিবেশীরা এলে তো জেনির মৃত্যুটা ঠেকানো যেতো । তাপুরা প্রভাবশালী হলেও ।
প্রতিবেশীরাতো রাত ৩টায় ঘটনা জানার জন্যই আসতো । জেনির মা তাপুদের বাসায় গিয়ে মনেহয় যেনো পাতা ফাদে ধরা দিলেন। সত্য যাই হোক কিশোরী জেনি ধর্ষিতা হয়েছে এবং জীবনের রূপ, রস, গন্ধ উপভোগ করার আগেই হায়নাদের কবলে পড়ে জীবন দিয়েছে । কোন বিচারেই এটা মেনে নেয়া যায় না । অপরাধীদের কঠোর শাস্তি পাওনা হয়েছে ।
কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের কাছে যাদের অবস্থান, তাদের ছোয়া কি এতই সহজ ? তার কিছু আলামত কি এখনই দেখা যাচ্ছে না ?(বোঝার উপর শাকের আটির মত মহামান্য রাষ্ট্রপতি একজন খুনী, যিনি আইন আদালত দ্বারা বিচারে খুনী হিসাবে প্রমানিত হয়েছেন এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাকে ক্ষমা করেছেন । এখন অপরাধী যদি সাজা না পায় তাহলে আইন আদালত, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশী তদন্ত, সব ঠুনকো হয়ে যায়না কি ?) পুলিশ, আইন আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন উঠে যাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, তার আলামত তো দেখাই যাচ্ছে । এরপর মানুষ আর পুলিশ বা আদালতের কাছে যাবেনা, নিজেদের বিচার নিজেরাই করে নেবে । এতে জোর যার মুল্লুখ তার এই নীতিই প্রতিষ্ঠা পাবে । এই অবস্থা থেকে তখন মুক্তির জন্য সবার জোর বাড়াবার প্রয়োজন হবে।
ব্যক্তিগত নিরপত্তার জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন হবে (আমার ছিনতাই ব্লগটি দেখুন ) এই অবস্থা কোনমতেই কাম্য নয় । আইনকে নিজের পথে চলতে যারা বাধাগ্রস্ত করছেন, আইনের যারা অপপ্রয়োগ করছেন তারা এর দায় এড়িয়ে পার পাবেন বলে মনে হয়না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।