পরে বলবো
বরগুনায় বিদুৎ সংযোগ নিয়ে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে ভাগ বাটোয়ারায় মিল না হওয়া বন্ধ হয়ে আছে বরগুনার কাউনিয়া-বরগুনা ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনের জেলা বরগুনা। এ জেলায় জনমানুষের দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই। সরকার শত চেষ্ট করলেও দুনীর্তি বাজদের কারনে থেমে যায় উন্নয়ন কর্মকান্ড।
তারই কর্মফল বরগুনা ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন।
ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, বরগুনার মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করেতে সরকার ভান্ডারিয়া থেকে বেতাগী হয়ে বরগুনা বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়ার চিন্তা করে প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। এর মধ্যে বরগুনায় দায়িত্বে থাকা সাব ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম ও ঠিকাদার জসিমের সাথে নিকো করে ২২ কি.মি দীর্ঘ রাস্তা কে ৩০ কি.মি দেখিয়ে বিজ্ঞাপন সহ সকল কার্যক্রম শেষ করে । পত্রিকায় প্রকাশের পর ভাগ্যচক্রে ঠিকাদার জসিম টেন্ডার না পেয়ে এড কো ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি, ১২১ নিউ কাকরাইল রোড, ঢাকার কাগজপত্রে গৌরিচন্নার ঠিকাদার মীর পলাশ কাজটি পায় । বিষয়টি জানাজানি হলে সরোজমিনে মোতাহার,আবুল কালামসহ ৩ সদস্যর একটি টিম পরিদর্শন করে ৩০ কি.মি কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার দেন। ঠিকাদার মালামাল আনতে গেলে খুলনা থেকে ঠিকাদার কে বরিশাল থেকে ১৭ কিলোমিটার কাজের মালামালের মধ্যে ১৪ কি.মি লুচ মালামাল দেয়।
ঠিকাদার জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাকে বলে মুল লাইন ২২ কি.মি কাগজ কলমে দেখানো হয়েছে ৩০ কি.মি এই মালামাল নেয়ার দরকারকি। পার্শেনটিজ হিসেবে ৩ কি.মি মালামাল রেখে দেয়। ঠিকাদার কাজ করতে অসিকৃতি জানায়। ভোগান্তি শুরু হয় বরগুনার মানুষের দিনের পরেদিন মাসের পর মাস রাতের পর রাত ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয় বরগুনার মানুষ।
বরগুনা পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন উভয় গ্র“পের মধ্যে সমজোতার চেষ্টা করলে শেষ পর্যায়ে ঠিকাদারের ক্ষোভ থাকলেও এক মাসের মধ্যে কাজ করবেন বলে জানালেন ঠিকাদার মীর পলাশ ।
এ ব্যপারে বরগুনার বিদ্যুৎ সরবারাহ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলি এইচ এম ফরাহাদ হোসেন জানান, এটি ২১ শহর প্রকল্পের কাজ বরিশাল থেকে নিয়ন্ত্রন হয়। আসলে আমিও চাই এই ৩৩ কেভির সংযোগের কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, তা না হলে বরগুনার শহরের সাথে বিদ্যুৎ সরবারাহ যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ।
২১ শহর প্রকল্পর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক জানান, আমি বরিশালে নতুন যোগদান করেছি। কিন্তু আমি আসলে ভালো কিছু জানিনা,তবে কাগজ পত্র দেখে দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যপারে পিডি মোতাহার হোসেনর সাথে ফোনে(০১৭৫৯১৮০১১৫) যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।