রাজধানী ঢাকার আমিনবাজারে গণপিটুনীতে ৬ কলেজ ছাত্রকে
হত্যা করলো গ্রামবাসী। এদের ৩ জন বাংলা কলেজ, একজন তেজগাঁও কলেজ এবং বাকীরাও অন্য কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এসময় আহত শিক্ষার্থী আলামিনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আহত আলামিন (২২) বলেন, তারা ৭ বন্ধু দারুস সালাম ও শ্যামলীর বিভিন্ন এলাকায় থাকত। শবে বরাতের নামাজ শেষ তারা গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে রিকশা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে আমিন বাজারের ট্রাক স্টান্ডের পেছনে কোলার চর বালুর মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিল।
এ সময় এলাকাবাসী তাদের ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার ৬ বন্ধু নিহত হয়। এ ব্যাপারে আমিন বাজার
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওকিল উদ্দিন জানান, ওই গ্রামে কয়েক দিন আগে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এলাকাবাসী গ্রাম পাহারা দেয়া শুরু করে। তিনি বলেন, ওই যুবকেরা ডাকাতি করার জন্য বালুর মাঠে মিটিং করছিল ভেবে এলাকাবাসী তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে ৬ যুবক নিহত এবং আহত হয় অপর এক যুবক।
হায় মানবতা!!!!!
এ ঘটনায় আমার মনে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠলো। এক• প্রথমত আমি ভাবছি, মানুষের মনে কি একটুও দয়া হলো না। এভাবে নির্মমভাবে ছাত্রদেরকে হত্যা করা হলো। এরমানে ডাকাতদের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ এতোটাই ক্ষিপ্ত ছিল যে, তারা এর প্রতিশোধ নিলো এসব নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের হত্যা করে।
দুই• অন্যভাবে বলা যায়, দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে এ ঘটনাই তার প্রমাণ। একেবারে বেসামাল অবস্থা। নেই কোন বিচারের ব্যবস্থা। যে কেউ যে কাউকেই নির্বিচারে অহরহ হত্যা, ঘুম ও ধর্ষণ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কি আর বলবো?? হায়রে দেশ মাসুম ছেলেরা কত আশা নিয়ে পবিত্র শবে বরাতের রাতে নামাজ পড়ে, দেশ জাতির জন্য দোয়া করতে গিয়ে নিজেরাই নির্মম হত্যার স্বীকার হলেন।
এ খবর শুনে কি অবস্থা হবে এদের বাবা মা অথবা আত্মীয় স্বজনদের ?? একবার ভাবলেই আমার মাথা কাজ করে না। এসব অভাগাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া কি আর করার আছে। বলুনতো????? এসব নির্মম হত্যাকাণ্ড থেকে পরিত্রাণের কি কোন উপায় নেই???????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।