আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিআইএ'র ভাষ্যমতে ওসামা বিন লাদেনকে যভোবে হত্যা করা হলোঃ পর্ব-০৪

আল্লাহ তা'লা বলেন, "নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমাসমূহ এবং ভাগ্য নির্ধারক শরকসমূহ অপবিত্র ও শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই না। অতএব, এগুলো থেকে বিরত থাক যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার। " সূরা আল মায়েদা - ৯০ ২৯শে এপ্রিল শুক্রবার সকাল ২০১১, যখন সারা পৃথিবী বৃটেনের রাজ পরিবারের বিয়ে দেখতে ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট ওবামা বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাকে ডেকে পাঠালেন এবং সরাসরি প্রসংগে চলে এলেন। তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন চলুন শুরু করা যাক। এমন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নিতে আগে কোনদিন আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্টকে দেখিনি।

প্রেসিডেন্ট ওবামা ৩০শে এপ্রিল স্ট্রাইক করার নির্দেশ দিলেন কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারনে মিশন স্থগীত রাখা হলো। পরেরদিন মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সেদিন রাতে প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস করসপন্ডিংস্ ডিনারে বেশ হালকা মেজাজেই সবার সংগে কথা বললেন। রবিরার মে ০১, ২০১১, প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউস সিসুয়েশনস রুমে কয়েকজন এ্যডভাইজার তার অফিসিয়ালের সংগে দেখা করলেন। মিশন এবার শুরু হতে চলেছে, সেই সময় পরিস্থিতি তাদের নাগালের বাইরে।

সবটাই নির্ভর করছে তখন পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের কয়েকজন স্পেশাল অপারেশনের লোকের ওপর। তাদের জীবন সংশয় ও হতে পারে। এটাই ছিল ফলাফলের মূল চালিকা শক্তি। সত্যি বলতে কি এই মিশন সফল হতোই, গত দশ বছর ধরে এটাই ছিল ন্যাশনাল সিকিউরিটির টপ প্রায়োরিটি। পাকিস্তানে তখন ঠিক রাত বারোটা।

ঊনাশি জনের স্পেশাল অপারেশর ট্রুপস আফগানস্থানের জালালাবাদের ইউএস বেস থেকে রওনা হলো এবোটাবাদের উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে ওসামা বিন লাদেনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় গ্রেফতার করার জন্য। স্পেশাল অপারেশনের লোকেরা রাতের অন্ধকারে কাজ করতে ভালোবাসে। কারণ তখন মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে, তারা জেগে থাকে না, বা চটপট আক্রমনের মোকাবেলা করতে পারে না। ট্রুপস দুটো ব্লাক হকস এবং দুটো সিনহকস হেলিকপ্টারে করে বেরিয়ে পড়ল। সিনহকসএ রয়েছে অপারেশন কমান্ড আর কমিউনিকেশন পার্সোনাল এবং ব্যাক অপ ফোর্সেস এবং ব্লাক হকসে রয়েছে স্্রাইক টিম, দুটো স্ট্রাইক টিমস, প্রায় দুডজন প্রত্যেক দলে বারো জন, বেশির ভাগই নেভী সিলস তবে বোঝাই যাচ্ছিল এমনকি আমাদের বলাও হয়েছিল এই মিশনে কয়েকজন ডেল্টা ফোর্সেস স্যোলজারও আছে।

এই মিশনের মূল ল্য হলো যার কোড নেম “অপারেশন নেপচুনিস্পীয়া” যেকোন মূল্যে রেডারের চোখকে ফাঁকি দেওয়া। ঐ বাড়িটার কাছে পৌঁছানোর আগেই যদি কোন স্পেশাল অফসটিম ধরা পড়ে যায় তাহলে পাকিস্তানী মিলিটারী সংগে সংগে ফাইটার জেটস এবং গ্রাউন্ড ফোর্স জড়ো করতে শুরু করবে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো ইউএস কমান্ডস এর কাছে ফাইটার জেটস আছে কিন্তু তাতে মিশন স্থগিত রাখতে হবে বা বাতিল করে দিতে হবে। মিশন যাতে সফল হয় তাই প্রায় ২৫৮ কিলোমিটার ফাইটবাক এমন ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে রেডার স্টেশন এড়িয়ে যাওয়া যায়। আমাদের কাছে রেডার আর মিশন প্লানার আছে যা বিশ্লেষন করতে পারে যে কোথায় পাকিস্তান রেডার আছে, কোথায় এয়ারবেস আছে, কত তাড়াতাড়ি তারা রেসপন্স করবে, কোন রুটে গেলে রেডারের চোখ এড়ানো সম্ভব হবে।

পাইলটরা নাইট ভিশন আর ইনফ্যারেড ইমাজিং এর সাহায্যে মাটির যত কাছ থেকে ওড়া সম্ভব ওড়ার চেষ্টা করল। হেলিকপ্টারগুলো রেডারের চোখ এড়িয়ে গা ঢাকা দিয়ে চলল। যতো মাটির কাছাকছি থাকা যায় মানে এটাই ছিল আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য কারণ তাহলে শত্রুর রেডারে আমরা ধরা পড়ব না। আমরা প্রায় গাছের ফাঁকদিয়ে উড়ে যাচ্ছিল তবে এটাকেও ১০০% নিরাপদ বলা যায় না। এই স্পেশাল অফসটিমের কাছে একটা বিশেষ উপকরণ আছে “টপ সিক্রেট স্টেলথ ব্লাক হকস” এই আধুনিক প্রযুক্তির চপারে কমান্সি মানে এক্সপেরিমেন্টাল স্টেলথ হেলিকপ্টারের সাথে মিল আছে যা ২০০৪ এ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।

চলবে.................. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.