এক রাজা তার পরিবার নিয়ে সুখে থাকত । রানী রাজকন্যারা সবাই একটা সময় পযর্ন্ত খুব সুখে ছিল । যতদিন ছোট রাজকন্যা বড় না হল ততদিন অনেক সুখ ছিল । এদিকে তাদেরকে শিখতে হত অনেক কিছু । ছোট রাজকন্যা সব কিছুরই শিক্ষা নিল ।

কিন্তু কোথাও কিছু নেই । কেন জানি তার মনে হত তার কথা শুনার মত কেউ নেই । তার একটা দুনিয়া যেখান থেকে সে কখন বের হয়নি । তার জীবনটা তত টুকুতেই আটকে ছিল । এক সকালে আসল নতুন এক জীবন ।

রাজকন্যা বের হল ছোট দুনিয়া থেকে । সেদিন তার পাশে ছিল না কেউ । সে একা একা ফুলের সুবাস নিল , খোলা মাঠে বসল, প্রজাপতির কানে কানে বলল ভালবাসতে । হয়তবা তাই একটা ছায়া তার পাশে এসে বসল । ছায়ার মানুষটি খুব সাধারন , কোন পরিচয় দেবার মত নেই ।

তাকে দেখেই মনে হল এত মায়া ময় মুখ ,যেন স্বপ্নে দেখা কেউ । রাজকন্যা মায়াময় মানুষটিকে ভালবেসে ফেলল । মায়াময় তার বিনিময় তাকে দিল মেঘলা দিনের ঠান্ডা হাওয়ার ভাললাগা । এরপর রাজকন্যা যতবার বের হল তার ভুবন থেকে ততবার মায়াময়কে সে ভালবাসতে লাগল । আর মায়াময় রাজকন্যার ভালবাসা উপেক্ষা করতে পারলনা ।

কেউ হলে তা করতে পারেনা । তারপর অনেক দিনের ,অনেক ভালবাসা । একদিন রাজকন্যাকে জানালো হল সে আর দশটা সাধারন মানুষ নয় । সে অসাধারন কেউ । তাকে পাবার অধিকার শুধু অসাধারন কারও ।

রাজকন্যা ভুলে গেল মায়াময় কারও কথা । ভুলে গেল অনেক ভালাবাসা কথা । সে শুধু অসাধারন কারও হবে । রাজকন্যা তুমি ভুলে গেলে মায়াময়কে । কি ভাবে পারলে ? এমন তো কথা ছিল না ।

তুমি কি জানতে ভালবাসা কি ?
।