মহলদার ঘরে যে পরিমান পিঁপড়া হইয়াছে! ইদানিং, খুব জ্বালাতন করিতেছে। আজ মনে হইল পিঁপড়া নিধনে নামা যাক। ঘরের ফ্লোরে কয়েক জায়গায় মধু মাখিয়া রাখিলাম। জড়ো হইলেই মারিতে হইবে। এর মধ্যে মাথায় আসিল আরেক চিন্তা।
এদের নিয়া একটু খেলাও যাক। এক ফোঁটা মধু রাখিলাম পিরিচে। অপেক্ষা করিতে থাকিলাম। তাহার কিছুক্ষণ পর যাহা দেখিলাম তাহা এইরূপ-
উহারা আসিতে আরম্ভ করিল।
উহারা ক্রমে সংখ্যায় বাড়িতে লাগিল এবং মধুর ভান্ডারে মুখ ডুবাইল।
সংখ্যায় আরো বাড়িল। কেউ কেউ বোধ হয় মধুপান সমাপ্ত করিয়া বিদায় লইতেছে।
সংখ্যায় বাড়িতেই থাকিল। মধু পানের নিমিত্তে কি মধুর সহাবস্থান! সাধেই কি আর বলে সুশৃঙ্খল প্রাণী!
সর্বশেষ অবস্থা হইল এই, পরিতাপের বিষয় এই ছবিটি ঠিকমত ফোকাস করিতে পারিনাই।
অতঃপর অন্যস্থানে সমবেত পিঁপড়াদের জীবন পদপিষ্টে সাঙ্গ করিলেও পিরিচের পিঁপড়াকুল কিভাবে হত্যা করিব উপায়ন্তর না পাইয়া রান্নাঘরে রাখিয়া আসিলাম।
বলিয়া রাখি, ইহারা হইল খুব খুউব ছোট জাতের লাল পিঁপড়া, আমরা বলি গুঁড়ি পিঁপড়া। সাইজে ইহারা প্রায় আপনার চুলের মত কিম্বা এর চেয়ে কিঞ্চিত মোটা ।
(এক্সট্রিম ম্যাক্রো করার সরঞ্জাম আমার নেই। ইনডোর ফটোগ্রাফির অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমার ৯০মিমি (১:১) ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে এটুকু করতে পেরেছি। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।