আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবিচার

Freedom Lover গত ১২ জুন এশিয়ান ইউনিভারসিটি ফর ওমেন থেকে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকার ১১ জন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, এ বছর জিপিএ ২ (৭৪-৭৬%) পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অযৌক্তিক, অনৈ্তিক ও নীতিমালা বহিভূত এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রায় ১০০ ছাত্রী্র ইউনিভারসিটি সামনে পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে সমবলিত মানববন্ধন ও অবস্থান ধমঘট পালন করে। ধর্মঘটে ছাত্রীরা ১১ জন ছাত্রীর বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানায়। ছাত্রীরা জানায়, রেজাল্টের জন্য বহিস্কার সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা এই ইউনিভার্সটিতে নেই।

তাছাড়া তারা যখন ২০০৮ সালে বিভিন্ন সনামধন্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি ছেড়ে এই ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হয়, তখন তাদেরকে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দেওয়া হই নি। ২য় বর্ষের শুরুতে তাদেরকে যে “স্টুডেন্ট হ্যান্ডবুক” দেওয়া হয় তাতেও এই সংক্রান্ত বিষয়ের কোনোদ উল্লেখ নেই। তবে প্রোভোস্ট মেরী সেন্সেলোনি বলেন, নীতিমালা মেনেই তাদের কে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংবাদিকরা নীতিমালা দেখতে চাইলে কতৃপক্ষ নীতিমালা দেখাতে ব্যর্থ হয়। ইউনিভার্সটি চিফ ডিরেক্টার অব অপেরশন, ওমর শরীফ বলেছেন, ছাত্রীদেরকে একবার লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছিল।

এবিষয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রীরা জানায়, বছরের ১ম সেমিস্টারের ১৩০ জন শিক্ষাথীর মধ্য থেকে ৭৬ জনের সাথে তারাও ফেল করা তাদের জিপিএ ২ (৭৪-৭৬%) এর নিচে আসে। ছাত্রীরা জানান, শিক্ষকের অদক্ষতার জন্য ৭৬ জন সুডেন্ট ফেল করে। ২য় সেমিস্টারের মিডটার্মের সময় ছাত্রীদেরকে একটি ‘ওয়ানিং লেটার’ দেয়া হয়, যেখানে বলা হয় ২য় সে্মিস্টারে জিপিএ ২ এর নিচে পেলে আর ও কঠো্র পদক্ষেপ নেয়া হবে। ছাত্রীরা কঠোর পদক্ষেপ এর ব্যখ্যা চাইলে প্রভোস্ট মেরী সেনসেলোনি বলেন, ‘এটা তেমন কিছু না, চিন্তা কর না’। ছাত্রীদের দাবী, জিপিএ ২(৭৪-৭৬%)পেলে ইউনিভাসিটির ছাত্রীরা আরও জানায় তাদেরকে এক্সেস একাডেমী এবং প্রথম ট্রান্সক্রিপ্ট দেওয়া হ্য়নি এবং কতৃপক্ষের কাছ থেকে বলা হয়েছে ট্রান্সক্রিপ্ট দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ২৬ শে ফেব্রুয়ারী মেরী সেনসোলোনকে ওয়াশিংটন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডীন পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করে। আমেরিকার ওয়াশিংটন ইউনিভারসিটিতে একদিনে ২৫জন ছাত্রকে অবৈধভাবে বহিঃষ্কার করায় ৪৮ জন শিক্ষক একটি আবেদনপত্রে সাক্ষর করে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে। ডেইলি রিডার ফ্রন্ট টাইমসের রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। ইউনিভার্সটির খরচ কমানোর জন্য অনেক কর্মকর্তা, ছাত্র ছাটাই করেছিল। এছাড়াও ইউনিভার্সটির অনেকগুলো ডিপারটমেন্টকে একত্র করে ফেলেছিল এবং এসব সিদ্ধান্ত তিনি একক ভাবে নিয়েছেন।

ঠিক একই ভাবে এশিয়ান ইউনিভার্সটি ফর উইমেন এও তিনি কম্পিউটার সায়েন্স ডিপারটমেন্ট আগামী বছর থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন এবং খরচ বাঁচানোর জন্য ছাত্রী বহিষ্কার করেছেন। ছাত্রীরা জানান, ছাত্রীদের বহিঃষ্কারের সিদ্ধান্ত মেরী সেন্সোলোনী এককভাবেই নিয়েছেন কারন কোনো ডীন বা শিক্ষক ছাত্রীদের এই বহিঃষ্কার সম্পর্কে অবগত ছিল না এবং ইউনিভার্সটিতে কোনও সুনিদিষ্ট কমিটি না থাকায় প্রভোস্ট তার নিজ ইচ্ছা মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।