সেদিন খবরটা পড়ে মনটা বড়ই আর্দ্র হলো। কার্টুনিষ্ট আরিফের নাকি ২ মাসের জেল আর সাতশ টাকা জরিমানার রায় হয়েছে। যশোরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই রায় হয়েছে। তাও আবার রায় দেওয়া হয়েছে একতরফাভাবে, মানে কার্টুনিস্ট আরিফকে পলাতক দেখিয়ে। অথচ এটা উচ্চ আদালতের একটি ডিসাইডেড ম্যাটার।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে কার্টুনিষ্ট আরিফকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তখন সেটা পুরো দেশে আলোচিত বিষয় ছিল। ব্যারিস্টার সারা হোসেন আরিফের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন।
মনে পড়লো সেই আলপিনের কথা। সম্ভবত মোহম্মদ বিড়াল টাইপের কিছু ছিল কার্টুনটিতে।
এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে কি হয়নি সে বিতর্কে যাবো না। তবে এক নতুন বিতর্কের অবতারণা করবো। বিষয়টি হচ্ছে দায়বদ্ধতা।
সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, কার্টুনিষ্ট আরিফুর রহমান ছিলেন প্রথম আলোর কন্ট্রিবিউটর। এরা পত্রিকার স্টাফ নন।
আলপিনের কন্ট্রিবিউটর হিসেবে সাপ্তাহিক মিটিং এ আরিফকে কার্টুনটি আকার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন আলপিনের দায়িত্বে ছিলেন সুমন্ত আসলাম। ঘটনাটা দাড়ায় এরকম- আরিফ কার্টুনটি এনে আলপিন বিশেষ সম্পাদক সুমন্ত আসলামের হাতে দেয়। সুমন্ত এডিট করে পুরো আলপিন প্রস্তুত করে। পরে তা মতিউর রহমানের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়।
অথচ দায় নেবার বেলায় শুধু কার্টুনিষ্ট আরিফ নেবে- এটা কেমন বিচার। এটার সাথে মতিউর রহমান সুমস্ত আসলাম দের কি কোনো লায়াবিলিটি নাই? সুমন্ত না হয় একটা শাস্তি পেয়েছেন। সম্ভবত তাকে চাকুরীচু্ত করা হয়। পরে ইত্তেফাকে জয়েন করেন সুমন্ত। অথচ মতিউর রহমান বহাল তবিয়তেই আছেন।
শুধু ক্ষমা চেয়েই পার পেয়ে গেলেন! আর আরিফের ২ মাসের জেল আর সাতশ টাকা জরিমানার রায় হয়। মাসের পর মাস পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়।
এটা মতিউর রহমানের নতুন অভ্যাস নয়। আরেকবার আলপিনে এমপি হোস্টেল নিয়ে একটি লেখায় এমপিদের বদনাম করা হয়েছিলো। এজন্য ওই লেখার লেখক আহসান কবির কে প্রথম আলো থেকে বরখাস্ত করা হয়।
একজন সম্পাদক হিসেবে প্রথম আলো সম্পাদকের দায় না নেবার এমন প্রবণতা কি ঠিক? আর ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদীরা একজন নিরীহ শিল্পীকে ভোগান্তি দিয়ে কি চরিতার্থ করতে চাচ্ছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।