সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে রনির সংসদ সদস্য পদ বাতিলেরও দাবি জানান সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। টেলিভিশন টক শোতে তাকে বর্জনেরও আহ্বান জানানো হয়।
একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের দুই সংবাদকর্মী শনিবার রাজধানীর তোপখানা সড়কের মেহেরবা প্লাজায় সংসদ সদস্য রনির কার্যালয়ে গিয়ে হামলার শিকার হন।
এর প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের সাংবাদিকদের আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য দেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, “আমরা বিএনপি সরকার বুঝি না।
আমরা আওয়ামী লীগ সরকার বুঝি না। আমরা ভবিষ্যৎ সরকার বুঝি না। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা- নির্যাতন করবে আমরা তাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাবো। ”
সাংবাদিকদের ওপর হামলার জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে গোলাম মওলা রনিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
রনির সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে শাহেদ চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর আমরা রনির অফিসে গিয়েছিলাম।
তখন তিনি আমাদের কাছে মিথ্যা কথা বলে দুঃখপ্রকাশ করে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিওফুটেজে দেখেছি তিনি কিভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন।
“ভিডিওফুটেজ দেখে অবাক হয়েছি, একজন সংসদ সদস্য কিভাবে এমন মিথ্যা কথা বলতে পারে। এমন মিথ্যাবাদীকে আমরা সংসদে দেখতে চাই না। ”
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ইন্ডিপেন্ডেটের প্রতিবেদক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে মারধর করছেন রনি ও তার সঙ্গীরা, লাথিও মারছেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরকারি দলের সংসদ সদস্যের এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। রনিকে কোনো অনুষ্ঠানে না ডাকতে আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি সব টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরাও। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে।
শনিবারের ঘটনার পর সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতিতে রনি আহত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা ব্যয় ও ক্যামেরার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাসও দেন।
তবে সাংবাদিক পেটানোয় নিজে জড়িত ছিলেন না দাবি করে পটুয়াখালীর এই সংসদ সদস্য বলেন, কারা মেরেছে তা তিনি জানেন না। তবে যেহেতু ঘটনাটি তার অফিসের সামনে ঘটেছে তাই তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে এর সঙ্গে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মালিক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগও আনেন পটুয়াখালীর এই সংসদ সদস্য।
মারধরের ঘটনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করলে সালমানকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন রনি। পুলিশ দুটি মামলারই তদন্ত শুরু করেছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের করা মামলায় রোববার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন রনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।