ইন্ডিপেন্টেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে পেটানোর একদিন পর রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার বেসরকারি ওই টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে রাজধানীর তোপখানা সড়কের মেহেরবা প্লাজায় রনি ও তার সঙ্গীদের হামলার শিকার হন।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, দুই সাংবাদিককে রনির নিজের হাতে মারছেন, লাথিও দিচ্ছেন।
তবে রনি তার প্রতিষ্ঠানের ভবনে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করলেও নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
সাংবাদিক মারধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে টেলিভিশনগুলোর বার্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রনিকে কোনো টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোরও আহ্বান জনিয়েছেন তারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন- মনজুরুল আহসান বুলবুল (বৈশাখী টেলিভিশন), খায়রুল আনোয়ার (এনটিভি), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (চ্যানেল ৭১), মোস্তফা ফিরোজ ( বাংলাভিশন), ইব্রাহিম আজাদ (একুশে টেলিভিশন), অলক দাশ গুপ্ত ( দেশ টিভি), খালেদ মুহিউদ্দিন ( ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), সাইফুল আমিন ( চ্যানেল আই), জ ই মামুন (এটিএন বাংলা), মুন্নী সাহা (এটিএন নিউজ ), রেজোয়ানুল হক রাজা ( মাছরাঙা), শরীফুল ইসলাম ( এস এ টিভি), লুৎফর রহমান ( আর টিভি), মেসবাহ আহমেদ (গাজী টিভি), সোহেল মাহমুদ (মোহনা টিভি), মাহমুদ আল ফয়সাল (মাই টিভি)।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদদিকরা যেভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছেন, তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়।
“দেশের নীতি নির্ধারকগণ যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন, তখন সরকারি দলের একজন সাংসদের এই আচরণ তাদের সেই সদিচ্ছাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।