ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে রয়েছে অনেক সমালোচনা, অনেক বিতর্ক। কিন্তু এত এত সমালোচনার মধ্যেও কিছু কিছু বিষয় সত্যি আশা জাগায়। আর তেমনি একটি উদ্যোগ স্মার্ট ক্লাসরুম।
সরকারী-বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়িত "শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পাইলট কর্মসূচি" এর আওতায় দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ কর্মসূচি। তিন বছরের এ কর্মসূচিতে অর্থায়ন করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ভলান্টার্স এসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভ্যাব)- নিউজার্সি।
বাস্তবায়নে রয়েছে ডি.নেট এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। গত ২৬ জুন ২০১১ দেশের প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুমটির উদ্বোধন হলো। কর্মসূচিটির আওতায় মোট ১০০ টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপিত হবে। ইতিমধ্যে ৩০ টি বিদ্যালয়ে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ এমন একটি স্মার্ট ক্লাসরুমের উপর ফিচার করতে গিয়েছিলাম ধামরাইয়ের আলহাজ জামালউদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।
শিক্ষক বোর্ড মার্কারের পাশাপাশি ব্যবহার করছেন ল্যাপটপ এবং বড়পর্দার মনিটর। বড় পর্দার মনিটরটি চলছে সোলার আইপিএস এর সাহায্যে, কাজেই বিদ্যুৎ না থাকলে ও কোন সমস্যা হচ্ছে না ক্লাস নিতে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ফিডব্যাকে জানালো এখন প্রতিদিনের পড়া ক্লাসে বসেই বুঝতে পারছে, বাসায় তেমন পড়া লাগছে না, মুখস্থ করার দরকার হচ্ছে না। মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট এ উপস্থাপিত বিষয়গুলি সহজে বুঝতে পারছে এবং নিজেদের ভাষায় লিখতে পারছে।
শিক্ষক জানালেন, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায়ই বিষয়বস্তু না বুঝে পড়ার কারনে রেজাল্ট খারাপ করত, কিন্তু এখন পাঠ্যক্রমের বিষয়গুলি তারা বুঝতে পারছে এবং মুখস্ত করছে না, ফলে এখন ছাত্র-ছাত্রীরা সৃজনশীল পদ্ধতির সুফল পাবে।
আসুন দেখে নি স্মার্ট ক্লাসরুমের ক্যামেরাবন্দি কয়েকটি মুহুর্ত
(স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধনে মাননীয় প্রতিমন্ত্রি মহোদয়)
(স্মার্ট ক্লাসরুমে পাঠদানরত শিক্ষক)
(স্মার্ট ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অতিথীবৃন্দ)
ছবি: সংগৃহীত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।