Abar
এটা আমাদের ডিওজি সাহেবের গল্প। কুকুরটা একবার জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিল। ভীষণ বিপদে পড়ে গিয়েছিল, কোন দিকে যাবে ঠিক বুঝে পাচ্ছিল না। বিপদের উপর বিপদ, চিতাজী হাজির হয়ে গেলেন । কোরিয়ানদের প্রিয় খাবার তার চেখে দেখার শখ।
কুকুরটা কোন উপায় খুজে পাচ্ছে না চিতার হাত ( সামনের পা-গুলো আরকি) থেকে বাঁচার। জানে দৌড় দিয়ে কেউ চিতার সামনে থেকে পালাতে পারবে না, তাই সে চেষ্টা আপাতত করছেই না সে। বুদ্ধি চাই, বুদ্ধি।
সামনেই দেখলো কিছু হাড়গোর পড়ে আছে এক জায়গায়। বুদ্ধিটাও গজালো মাথায়, এসে চিবুতে শুরু করলো।
চিতার দিকে পিছন ফিরে অপেক্ষায় থাকলো ব্যাটা কাছাকাছি আসার।
চিতাবাঘ এল। কুকুরটা হাড় চুষতে চুষতে একা একাই বলতে লাগলো, চিতাবাঘের মাংস তো বেশ মজা! শালার হাড্ডিও মজা। আর দু-একটা পাইলে খারাপ হয় না ভুরিভোজটা।
চিতার অগ্রগতি থেমে গেল।
আর তার সাহসে কুলোয় না। কোরিয়ান খাবার খাওয়া হল না। ঘুরে দৌড়। আটকে রাখা দম ছাড়ার সুযোগ পেল কুকুরটা।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় বিপদের।
গাছে বসা মাংকিটা তো সব দেখেছে। কুকুরটা বোকা বানিয়েছে তার সবচেয়ে বড় এনিমিকে। সে ভাবল, এই সুযোগে চিতাকে সব বলে দিয়ে সুনজরে আসা যায় কিনা। ছুটলো সে চিতার পেছনে।
একটু পরে কুকুরটা দেখতে পেল, আবার আসছে চিতা, সঙ্গে বানরটা।
কি ঘটেছে অনুমান করতে পারল সে। আর তো কোনো চান্স নাই। বাট সময় লাগল না করণীয় ঠিক করতে। বসে রইল ওদের দিকে পিছন ফিরে।
বানর আর চিতা যখন খুব কাছে চলে এসেছে তখন কুকুরটা আবার একা একা বলা শুরু করলো, শালার বান্দরটা কোন কামের না! একটা চিতাবাঘ নিয়া আসতে এত সময় লাগলে হয়? পেট চোঁ চোঁ করতাছে খিদায়, শালার খবর নাই..........
চিতাবাঘ কি আর এক সেকেন্ডও দাঁড়ায়??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।