আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মার্ট গার্লফ্রেন্ডের স্মার্ট বাপের ফান্দে পইড়া বেকুব পোলা কান্দে

কি লেখি না লেখি... ভেবে পাই না কূল। পোলারে তার গার্লফ্রেন্ডের বাপ মা কেউই পছন্দ করে না। যখন এই সম্পর্কের ব্যপারে জানাজানি হয় মেয়ের মোবাইল জব্দ করে ফেলেন ভিলেন বাপ। মেয়ের ইন্টারনেট ইউজ করার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তার পরও কেমনে কেমনে জানি যোগাযোগ করে ফেলত ওই পোলা।

বাপ তো ব্যপক ক্ষ্যাপা। মনে মনে প্ল্যান করল পোলারে চরিত্রহীন প্রমান কইরা মাইয়ার মন থাইকা দূর কইরা দিব। যেই ভাবা সেই কাজ। পরের দিন পোলা একটা ইমেইল পাইল। লেখা ছিলঃ "হেই, তোমার পরিবার আর আমার পরিবার অনেক কাছাকাছি।

লাইক তুমিও চৌধুরি, আমিও । আমরা একই পাড়ায় থাকি। তোমাকে রোজ দেখি আমার বাসার সামনে দিয়ে যাও। ওয়াও, কি দারুন তোমার ফিগার। এক্কেবারে মাস্ককিউলার ।

তুমি চাইলে আমরা ফ্রেন্ডস হতে পারি। " এই যুগের পোলা। এইরকম একটা ইমেইলের উত্তরে না তো করতে পারে না, তাই না । ব্যাস... পোলাও চালু কইরা দিল ফ্লার্টিং । ঐদিনই আবার পোলার কথা হয় তার গার্লফ্রেন্ডের লগে, আর ভালা মানুষের মত ইমেইলের কথাও কইয়া দেয় মাইয়ারে।

কিন্তু মাইয়া তেমন রাগ করে না কারন প্রেম অনেক গভীর কিনা । যাই হউক, মাইয়ার মোবাইল বাপে নিয়া নিছে, তাই পোলার লগে কয়েকদিন যোগাযোগ নাই। এই চান্সে পোলা ঐ মাইয়ার লগে চুটাইয়া ইমেইল আদান প্রদান করতাছে। দেখা করতে গেছিলো এক রেস্টুরেন্ট-এ মাগার মাইয়া আসে নাই। পরে মাইয়া কয়ঃ "সরি হানি, আমার যেতে একটু লেইট হইয়ে গিয়েছিল।

তুমি আরেকটু ওয়েইট করতে পারলা না? থাক আর রেস্টুরেন্ট-এ দেখা করে কাজ নেই। তুমি আমার বাসায় চলে এসো যখন কেউ থাকবে না। আমি বলব তোমাকে কখন আসতে হবে। আমার বাসার নম্বর ৯২। " পোলাতো মহা খুশি।

কিন্তু ৯২ নাম্বার বাসার সামনে দিয়া তো আমি কখনো যাই না, মাইয়া আমারে দেখলো কেমতে, পোলা ভাবে। মজা লইতাছে না কি আমার লগে কয়েকদিন পরে একটা টেক্সট পাইলো পোলা। লেখা ছিলঃ "তুমি আমারে মেরে ফেলবা না কি?? কল মি প্লিজ। ইটস মাই ফ্রেন্ডস নাম্বার। " পোলায় কল করল।

এইটা তার গার্লফ্রেন্ড। দুই চাইর মিনিট আজাইরা পেচালের পরেই মাইয়া জিগায়ঃ "তোমার ঐ ইমেইল-ওয়ালির খবর কি? কথা হয়?" পোলায় আগা গোড়া সবকিছু বলে মাইয়ারে। মাইয়া কয়ঃ "তুমি ওর সাথে ফ্লার্ট কর কেন, তুমি তো সিঙ্গেল না। আর তুমি ওর সাথে দেখা করতে গাছিলা কেন? দেখা হয় নাই সেটা আলাদা ব্যাপার বাট তুমি গেলা কেন?? আমার সাথে চিট করচ তুমি " পোলা তো থ মাইরা গেছে। কয় আমি তো খালি একটু দেখতে চাইছিলাম মাইয়াটা কে, আর কিছু না।

আর আমি চিট করি নাই, করলে তুমারে ঐ মাইয়ার ইমেইলের কথা কইতাম না। এইবার মাইয়া শান্ত হয়। হুমমম ঠিকই তো। মাইয়া কয়ঃ "তোমার সবগুলা ইমেইল-ই আমি পড়ছি। শুধু আমি না, আব্বু, মা, আপ্পি সবাই মিলেই দেখছি তুমি কি লিখছ" পোলার তো হার্টফেইল হওয়ার দসা।

"কি?????? তার মানে তুমিই এইগুলা করছ?? আমার সাথে গেইম খেললা?? বিশ্বাস কর না আমারে??" মাইয়া কয়ঃ "আরে, ইমেইলগুলা আমি লিখি নাই, আব্বু লিখছে তোমারে টেস্ট করার জন্যে। রিজাল্ট খুব প্যাথেটিক। তুমি ফেইল করছ। আমি অনেক ট্রাই করছি তোমাকে সাবধান করার বাট কোন ওয়ে ছিল না, মোবাইল ও ছিল না ইন্টারনেটও না। " সালার শশুর, পোলায় মনেমনে কয়।

আর একবার ইমেইল কইরা দেখ, তোর চৌদ্দগুস্টি উদ্ধার করুম। মাগার আফসুস, আর কোন ইমেইল-ই আসে নাই। পোলা অপেক্ষায় আছে আর একটা চান্সের নিজেরে ভালা মানুষ হিসেবে শশুরের কাছে পেশ করার। মাগার হালায় মনে হয় আর ইমেইল করব না। যাই হঊক গার্লফ্রেন্ডরে তো মেনেজ করতে পারছে।

যদি ওর কাছে ইমেইলের মাইয়ার কথা লুকাইতে চেস্টা করতাম, তাইলেই কট খাইতাম। আল্লাহ তুমি মেহেরবান, পোলা ভাবে। মাইয়া যখন রাজি আছে, মাইয়ার বাপেও একদিন রাজি হইব, নো টেনশন। মাগার কি ধরাটাই না খাইলাম... পোলায় ভাবতেই থাকে ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.