প্রত্যেক নাস্তিক ও তার নিজস্ব নাস্তিকত্বে আস্তিক,যেমন সকল নাস্তিক ই বলে আল্লাহ নাই ভগবান নাই,আমরা বান্দর থেইক্কা মানুষ হইছি ইত্যাদি কিন্তু এইটাও যে নাস্তিকতার আস্তিকতা সেইটা কি তারা বুঝে!!
এক দেশে ছিল এক রাজকন্যা।
রাজার কন্যা সে
তাহার কোন কিছুর ই কমতি ছিল না। চাহিবা মাত্র জীবনের সকল আয়োজন তাহার সামনে উপস্থিত করিতে তার পিতা কখনোই কার্পন্য করে নাই। রাজকন্যা যদি কখনো কোন ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হইত তবে তৎক্ষনাত কথা বলা বন্ধ করিয়া দিত। [তাও ভাল নাওয়া খাওয়া বন্ধ করত না]আর কথা বন্ধ হইলেই রাজার ঘুম আসিত না।
সে পাগল প্রায় হইয়া যাইতেন। কোন না কোনভাবে রাজকন্যার দাবী মিটাইয়া তাহাকে শান্ত করিয়া তবেই তিনি থামিতেন।
এমনিভাবে দিন রাত্রি সপ্তাহ মাস বছর কাটিতে লাগিল। রাজকন্যা ছোট হইতে বড় হইয়া উঠিল। একটা সময় রাজকন্যা ভাবিতে লাগিল তাহার সব আছে কিন্তু তারপর ও তাহার কী যেন নাই।
জীবনে তাহার যেন কীসের অভাব। জীবনের সুর আর ছন্দের মাঝে কোথায় যেন একটা ফাক আছে। অনেক চিন্তা ভাবনা করিয়া রাজকন্যা বাহির করিল তার সখী আছে কিন্তু সখা নাই। জীবনের এই লগ্ন পর্যন্ত কখনো সে এইরুপ ভাবে নাই। আজ হঠাৎ করিয়া মনের ভিতর কী যে উদয় হইল।
যাই হোক রাজকন্যার সখা চাই। ঘটনা অতি দ্রুত রাজার কর্নকুহরে প্রবেশ করিল। রাজা বুঝিতে পারিলেন তাহার কন্যা বড় হইয়াছে। তাহাকে বিবাহ দেয়া আবশ্যক। তাই তিনি রাজকুমার খোজার জন্য চারদিকে লোকজন পাঠাইলেন।
রাজকন্যার জন্য উপযুক্ত রাজকুমার পাওয়া তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এদিকে প্রাসদের অন্তপুরে রাজকন্যা ছটফট করিতে লাগিল তাহার সখার জন্য।
তিন দিন পর
রাজকন্যা কথা বলা বন্ধ করিয়া দিয়াছে। কারণ এখনো তাহার সখা পাওয়া যায় নাই।
সাত দিন পর
রাজকন্যা প্রাসাদ হইতে চলিয়া গিয়াছে।
তাহাকে খুজিয়া পাওয়া যাইতেছে না।
অষ্টম দিন
রাজকন্যা কে খুজিয়া পাওয়া যায় নাই। রাজা প্রজা মন্ত্রী সহ সকলের ঘুম ছুটিয়া গিয়াছে
দশম দিন
রাজকন্যাকে খুজিয়া পাওয়া গেছে কিন্তু দূর্ভাবনার বিষয়ে হচ্ছে তাহার সখা সে নিজে নির্বাচান করিয়া লইয়াছে। এবং তাহার সখা একজন রাখাল।
প্রথমে রাজকন্যা কে বোঝানোর চেষ্টা করা হইল।
তাহাতে সে কর্নপাত করিল না। তাহাকে বোঝাইবার মত লোক ওই রাজ্যে ছিল না। অতঃপর রাখাল কে রাজকুমার বানানোর চেষ্টা করা হইল। কিন্তু রাখাল কি আর রাজকুমার হইতে পারে। পারে না কখনোই না।
রাজবাড়ির পোষাক পড়িলে তাহার দম বন্ধ হইয়া আসে,খাবার গলা দিয়া নামে না সব বিশাদ লাগে।
তবে রাজ কন্যার সহিত কথা বলিতে তাহার ভাল লাগে। কী সুন্দর করিয়া রাজকন্যা তাহার সহিত কথা কয়। অবাক হয়ে রাখাল কেবল শুনে। এই অল্পকয়দিনেই রাজকন্যার জন্য মায়া পড়িয়া গেছে।
সকল সময় তাহার সাথে থাকিতে মন চায়। কিন্তু তাহা সম্ভব না। তেমনি সম্ভব না তাহার এই খানে এই প্রাসাদে থাকা। আর কিছু কাল থাকিলে সে বোধহয় পাগল হইয়া যাইবে। তাই একদিন রাত্রে রাখাল বালক প্রাসাদ হইতে পলায়ন করিল।
তাহাকে পুনরায় ধরিয়া আনা হইল। আবার সে পালাইল। আবার ধরা হইল। এই চোর পুলিস খেলার মধ্যে রাজা ও রাজকন্যার জীবন অতিষ্ঠ হইয়া উঠিল।
অবশেষে রাজা কঠোর হইয়া গেলেন রাখাল কে দেশান্তরী করা হইল আর রাজকন্যাকে পার্শ্ববর্তী দেশের রাজকুমারের সহিত বিবাহ দেয়া হইল।
গল্পের ও সমাপ্তি ঘটিল।
পুনশ্চঃ রাজকুমার ও রাখাল দুজনের নামের শুরুতেই কিন্তু “র” অক্ষরটি আছে। রাজকন্যা কে অন্য রাজকুমার পাইয়াছিল ঠিক ই কিন্তু তাহার মনটা ছিল রাখাল বালকের কাছে।
রাখাল বালক রাজকন্যার মনের মর্ম বোঝে নাই তাই তাহাকে পায় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।