আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রজীবন থেকেই লম্পট ছিল পরিমল..রাতভর ছাত্রীদের সঙ্গে মোবাইল এ কথা পরে প্রেম, তারপর দৈহিক সম্পর্ক

ছাত্রজীবন থেকেই লম্পট ছিল পরিমল। বিশেষ করে তার চরিত্রের স্খলন ঘটেছিল এইচএসসি পড়ার সময়। খুলনা বিএল কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ার সময়ই বিভিন্ন সময় প্রেমের অভিনয় করে পাঁচজন মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। তাদের প্রতেক্যের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একই সময় পরিমল দুই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করলেও তাদের কেউ কারও বিষয় জানতো না।

বিয়ের পরও ওই চরিত্র বদলাতে পারেনি সে। রিমান্ডে ভিকারুন নিসা স্কুলের শিক্ষক প্রতারক, ধর্ষক পরিমল জয়ধর এসব কথা জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, পরিমলকে গ্রেফতারের পর থেকেই পরিমলের পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছে। বেশ কয়েকবার আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা উত্তরার বাসায় অভিযান চালালেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন বলেন, নগ্ন ভিডিওর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিচ্ছে না পরিমল।

তবে তা উদ্ধার করার জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। ভিডিও চিত্রগুলো পাওয়া গেলেই পরিমলের ছাত্রী ব্ল্যাকমেইলের কৌশল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাতভর ছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড তারা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। স্কুল সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালে সে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার কারণে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে স্কুলে প্রচার করেছিল পরিমল।

কেউ এ বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করে উল্টো ভয়ে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতেন। এ কারণে দশম শ্রেণীর ধর্ষিত ছাত্রী প্রথমে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরও তা চেপে যেতে পরামর্শ দেন অধ্যক্ষ। জানা গেছে, ২০০৩ সালে বিএল কলেজ থেকে বাংলায় মাস্টার্স পাস করার পরই ঢাকায় এসে টিউশনি করত পরিমল। ২০০৪ সালে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পায় সে। ওই বছরই গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় বিয়ে করে সে।

২০১০ সালে চাকরি নেয় ভিকারুন নিসা নূন স্কুলে। শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। আর সেই শিক্ষক যদি ছাত্রীকে করে ধর্ষণ...!!!! ভাবতেই অবাক লাগে। পরিমলের মতো একজন নারী লোভী শিক্ষক আসলে শিক্ষক নামের কলংক। জাতি কি আশা করবে একজন শিক্ষকের কাছ থেকে।

শিক্ষকের সংগে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সম্পর্ক হবে বাবা মেয়ের মতো। পরিমলের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার তা দেখে আর কোন শিক্ষক যেন এমন ধর্ষণের মতো ঘৃণিত কাজ না করে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।