এসো, গল্প শোনাই।
আগের পর্ব: ছাত্র নেতার ছাত্রজীবন
গল্প-২:
করিম ভাই যে বিশাল আর্মস ক্যাডার, তা শুধু ছাত্রমহল নয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক মহলেও অতি পরিচিত। কিন্তু শিক্ষকদের সাথে ওনার ব্যবহার একেবারে অমায়িক। সমস্যা হলো শিক্ষকরা তো শুধু ব্যবহার দিয়া কোর্সগুলাতে পাশ মার্ক দিতে পারেন না।
করিম ভাইয়ের নিউমেরিক্যাল এনালাইসিস পরীক্ষা ।
গতবার পাশ করতে পারেন নাই। ল্যাব পরীক্ষার হইছে তিনটা। একটাও দেওয়ার সময় পান নাই।
তাই স্যার এর কাছে দাবি, ওনাকে যেনো একটা সুযোগ দেয়া হয়। একটা ভাইভা বা এসাইনমেন্ট জমা নিয়া তাকে পাশ করায় দেয়া হয়।
কিন্তু স্যার কোনো ভাবেই রাজি না করিম ভাইয়ের এই সব প্রস্তাবে। করিম ভাই অনেক মুলামুলি করলেন, কোনোভাবেই স্যার সিদ্ধান্ত বদলাবেন না।
করিম ভাইও ছেড়ে দেবার লোক না। চলে গেলেন স্যারের রুমে। স্যার প্রমোশনের কারনে সিংগেল রুমে বসেন।
স্যার তার রুমে ডেস্কে বসা। করিম ভাই রুমে ঢুকেই দরজা লক করে দিলেন। স্যারের তো ভয়ে আত্মারাম খাচা।
করিম ভাই শার্টের নিচ থেকে আর্মস বের করলেন। পকেট থেকে বের করলেন গুলি।
এইবার এক লাফ দিয়া স্যার এর পায়ে ধরলেন,
"স্যার। এই হলো যন্ত্র। আর এই হইলো বিচি। আমারে যদি পাশ না করান, যন্ত্রে বিচি ভইরা এক্ষন আমারে গুলি কইরা মাইরা ফেলান স্যার। "
(চলবে।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।