বাধা পেলেই সৃষ্টি হয় গণজোয়ার। আওয়ামী লীগের নেতাদের একটা চিকনা বুদ্ধি দিই-বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুকের উপর হামলার সময় ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছে এমন সব পুলিশকে এখনই বরখাস্ত করুন। তারপর তাদের গ্রেফতার করুন এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রত্যেকের জন্য লাখ টাকা জরিমান করে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড নিশ্চিত করনু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যেখানেই থাকুন দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে চলে যান। ফারুককে সরি বলে আসুন।
এই চিকনা বুদ্ধি দিলাম 'প্রোসপেক্টিভ প্রটেকশন' কনফার্ম করার জন্য।
যেহেতু ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বেদখল করে বাংলাদেশকে একটি লুটতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে সেহেতু সব রাজনৈতিক সরকারের গোমস্তাদেরই দায়িত্ব রয়েছে নিজের ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই নিরাপত্তা হলো ফিজিক্যাল নিরাপত্তা। একটা মেয়াদে আকণ্ঠ দুর্নীতি করতে গিয়ে তারা আরেকটা মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকতে বাধ্য হবেন এটাই অলিখিত ও অপরিবর্তনীয় নিয়ম।
কাজেই ওই ক্ষমতার বাইরেরটা মেয়াদটাতে তাদের দায়িত্ব হলো লুটপাটকৃত সম্পদের নিশ্চয়তা বিধান করা এবং নিজের শরীরটাকে হেফাজতে রাখা।
আর এই নিশ্চয়তা বিধান করতে হয় ক্ষমতায় থাকেতই। ক্ষমতা থেকে চলে গেলে কিছুই করার সুযোগ থাকে না। শুধু প্রতিপক্ষ ক্ষমতাধরদের বিরোধিতা করা ছাড়া। তাই যারাই ক্ষমতায় থাকেন না কেন তাদের কাজ হলো ক্ষমতায় থাকাবস্থায় বিরোধী দলীয় নেতাদের সাথে চিকনা খাতির রাখা। কোন ভাবেই বিরোধীদের সাথে ফৌজাদারি ঝামেলা করা যাবে না।
যদি করা হয় তাহলে ঘটনা যা দাড়ায় তা হলো ক্ষমতা শেষ হলে তারা নিশ্চিত আক্রমণের মুখে পড়ে যান। এ অবস্থায় তাদের বলি নিজেরে বাচান, কারণ নিজেরে বাচানি হলো ফরজে আঈন। কোন ভাবেই ফরজে কেফায়া নয়।
মেজর কামরুল হাসানের কথা ভাবুন পুলিশগণ!
আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে জরুরি অবস্থায় গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছিল। তার বুকে লাথি দিয়েছিলেন মেজর কামরুল হাসান।
তিনি ক্ষমতাধর মইনুদ্দিন সাহেবের লোক হিসেবে ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তার হুঁশ রাখা দরকার ছিল যে তার হাটুর ক্ষমতা যেমন স্থায়ী হবে না তেমনি নমরুদের চেয়েও কম ক্ষমতার মইনুদ্দিনের ক্ষমতার মেয়াদও নমরুদের দুরে থাকুক এরশাদের চেয়েও কম হবে। দুই বছরের মাথায় তাকে দেশ ছেড়ে ভেগে যেতে হবে। তিনি ভেগে গেলেন এবং মেজর কামরুল সাহেবও ভুগতে শুরু করলেন। তার এখন চাকরি নাই।
সংসদীয় কমিটিতেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্যাতনের। আওয়ামী লীগ আর্মির লগে দোস্তালি করছে বলে তার চাকরিটাই গেছে। মেনন খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অভিযোগের হয়তো নিষ্পত্তি করতে পারবেন না বলে তার আর বিশেষ কিছুই হবে না। কিন্তু এই আকালের দিনে চাকরিটাই বা কম কিসে!
তো এখনকার পুলিশ ভাইদের বলি তার কাছ থেকেই শিক্ষা নিন। সাহারা খাতুন ও সামশুল হক টুকু সাহেবের বসিং পাওয়ার দিয়ে আপনারা স্থায়ী প্রটেকশন পাবেন না।
এমনকি ছাত্রলীগের আবু আব্বাস ভুঁইয়ার মতো ত্যাজী নেতা থাকলে তো পলায়ন করেওা রেহাই পাবেন না। তাকে নির্যাতনের ঘটনাতো গোপণে ঘটেছে। কিন্তু জয়নুল আবেদিন ফারুকের ঘটনার তো দাগচিহ্ন রয়ে গেল।
আমরা এখন প্রার্থনা করি, হে প্রভু আপনার যেই সকল পেয়ারের বান্দারা ক্ষমতাধর তাদের ঘিলুর অপুষ্টি দূর করে দিন।
প্রভুর কাছে আরো দোয়া করি, ইংল্যান্ডের পড়াশোনার ফি কমিয়ে দিন।
এবং বিদেশী ছাত্রদের বিনা আইইএলটিএস-এ যাওয়ার তৌফিক দিন। সেখানে গেলে তারা যেন কাজ করে খেতে পারে তারও ব্যবস্থা করে দিন। এই টোরিদের পরিবর্তে লেবারদের ক্ষমতায় আসার তৌফিক দিন। সেটা এই আওয়ামী জমানার মধ্যেই।
সুত্র- View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।