দেশাত্মবোধক কোটা
দেশের সমস্ত উচ্চ পর্যায়ে মেধাবীরা ঢুকে যাচ্ছে, আমরা হচ্ছি বঞ্চিত প্রতিনিয়ত । তাই আসুন আরো একবার ঘুরে দাড়াই আমাদের নতুন ২৫ দফা দাবি নিয়ে ।
আমাদের দাবি সমূহ :
১. কোটধারীদের মেধা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন করা যাবে না।
২. সরকারিভাবে কোটাধারীদের জন্য আলাদা ভাবে পরিচয় প্রত্র প্রণয়ন করতে হবে, যাতে নিম্নোক্ত সুবিধাদি পাওয়া যায় ।
৩. মেধাবীরা যেসব ক্ষেত্রে Hon's এবং Master's এর সার্টিফিকেট দিয়ে Apply করে সেসব ক্ষেত্রে কোটাধারীদের ৮ম শ্রেণী পাশ নিতে হবে এবং কম্পিউটার চালনার যোগ্যতা শিথিল করতে হবে।
৪. সংবিধান হতে ২৭নং অনুচ্ছেদ এবং ২৮ এর (২) নং অনুচ্ছেদ (আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার এবং নারী পুরুষ সমান অধিকার) বাতিল করতে হবে। এবং সকল ক্ষেত্রে কোটাধারীদের অগ্রাধীকার সংযোজন করতে হবে।
৫. সংবিধানের ৩৯ এর (২ক) অনুচ্ছেদ (সকলের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা) সংশোধন করে কেবল মাত্র কোটাধারীদের বাক স্বাধীনতা দিতে হবে।
৬. সমস্ত কোটাধারীদের নাতী-পুতী ও পরবর্তী উত্তরসসূরীদেরও কোটা সুবিধা দিতে হবে এবং প্রতি পাঁচ (৫) বছরে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১০০% কোটা নিশ্চিত করতে হবে। এবং দেশ মেধাশূণ্য করতে হবে।
৭. মেধাবীদের নির্মূলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং তাদের মিছিল মিটিং আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৮. কোটাধারীদের কোন ক্ষেত্রেই মূসক (মূল্য সংযোজন কর) দিতে হবে না এই মর্মে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৯. BCS ও সরকারি চাকুরির ফরম পূরণে যেভাবে আমাদের জন্য ৯০% ছাড় রয়েছে (মেধাবী ৫০০টাকা, কোটা ৫০টাকা) ঠিক সেইভাবে বই পত্র, কাগজ কলম ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৯০% ছাড় দিতে হবে।
১০. সাইজ (উচ্চতা) ৩ ফুট হলেও ডিফেন্স এর চাকুরিতে অফিসার ও কমিশনার পদে কোন পরীক্ষা ছাড়াই ৬০% নিয়োগ দিতে হবে।
১১. সকল বেসরকারি সংস্থাতে কোটাধারীদের ৫৬% নিয়োগ দিতে হবে।
UNDP বর্তমানে কোন পরীক্ষা ছাড়াই ৯৮% আদিবাসী নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং তা বাকী ২% বর্ধিত করে ১০০% নিশ্চিত করতে হবে ।
১২. বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল ১০০% ফ্রি করতে হবে।
১৩. ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে ৯০% ছাড় দিতে হবে এবং ঋণ খেলাপী কোটাধারীদের ঋণখেলাপী ঘোষনা করা যাবে না ।
১৪. কোটাধারীরা কোন অপরাধে জড়িত থাকলেও রিমান্ডে নেয়া যাবে না। এবং খুন করলেও সর্বোচ্চ ২ মাসের অধিক জেল দেয়া যাবে না ।
১৫. সকল চাকুরিক্ষেত্রে কোটাধারীদের জন্য মাসে ১৫ দিন ছুটি দিতে হবে ।
১৬. জাতীয় সংসদের ৫৬% আসন কোটাধারীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
১৭. আমাদের গৃহায়ন ও আবাসন নির্মাণের ৫০শতাংশ অর্থ জনগন ও সরকারকে বহন করতে হবে। এবংরাজমিস্ত্রি হিসেবে মেধাবীদের নিতে হবে যাতে দালান-কোঠা রানা প্লাজার মত ধসে না পড়ে ।
১৮. তিন পার্বত্য এলাকা থেকে সমস্ত বাঙালীদের উচ্ছেদ করে বাঙালীমুক্ত পার্বত্য এলাকা গঠন করতে হবে এবং তিন পার্বত্য এলাকাকে আলাদা রাষ্ট্র ঘোষনা করতে হবে।
এবং সেই সাথে নতুন রাষ্টের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক সকল কাজ বাংলাদেশ সরকার ও বাঙালীদের করতে হবে এবং সেই সাথে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উপজাতিদের কোটা অধিকার এর নিশ্চয়তা বাংলাদেশ সরকারকেই দিতে হবে।
১৯.ভবিষ্যতে এদেশে যুদ্ধ সংগঠিত হলে মেধাবীদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে যাতে তারাও কোটা অর্জন করতে পারে । ( উল্লেখ্য কোটাধারীরা তখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না, কারন ডাবল কোটার সার্টিফিকেট আমাদের দরকার নাই। )
২০. বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সকল চাকরি ক্ষেত্রে শিল্পী ও সুন্দরী কোটা সংযোজন করতে হবে ।
২১. বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৭০% ছাড় দিতে হবে।
কিন্তু নারী কোটাধারীরা ৭০% বেশি দাবী করতে হবে পারবে। (উল্লেখ্য উভয় পক্ষ কোটাধারী হলে এই শর্ত শিথিল যোগ্য)
২২. সমস্ত উপাসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ৫ কাতার (সারি) কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।
২৩. গোরস্থান /শশ্মানে ৪৫% কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে ।
২৪. সকল যানবাহনে বসা ও ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫০% ছাড় দিতে হবে ।
২৫. বাথরুম / টয়লেট ব্যবহারে অগ্রাধীকার দিতে হবে
প্রকাশ ও প্রচারে : আমরা কোটাধারীদের সন্তান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।