ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় ইউপি চেয়ারম্যান ভাতিজার নেতৃত্বে ৮ বখাটের কাছে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কলেজ ছাত্রী। সংবাদ কর্মীদের কাছে সংবাদ পেয়ে ৮দিন পর গতকাল পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রী জানান, নরপশুদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারিনি নিজের ইজ্জত। দৌড়ে পালানোর সময় তার এক পা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা।
এক সপ্তাহ আগে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জা এবং প্রভাবশালী ধর্ষকদের ভয়ে মামলা করতে পারেনি ধর্ষিতার পরিবার।
৩ দিন অচেতন থাকার পর নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রী গোপনে চিকিৎসা নিয়েছে। ব্যান্ডিজ করা ভাঙ্গা পা নিয়ে এখনও বিছানায় কাতরাচ্ছে। নির্যাতনের বীভৎস বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নির্যাতনের শিকার ভোলা সদরের জাঙ্গালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা (১৮)। তিনি আরও জানান, গত ৬-৭ মাস ধরে এলাকার বখাটে যুবক মমিন তাকে বিভিন্নভাবে বাজে প্রস্তাব ও তার মোবাইল নাম্বারের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে তাকে বিরক্ত করে আসছে।
গত ২৫শে জুন সন্ধ্যায় শহরতলির পরানগঞ্জস্থ বড় ভাইয়ের বাসা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মমিন, রিপন, আফসারসহ ৭-৮ যুবক ওই ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর থেকে ধর্ষিতার পিতা এবং মা লোকলজ্জায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, তারা তাদের মেয়ের সর্বনাশকারী নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সংবাদ কর্মীদের কাছে সংবাদ পেয়ে ৮ দিন পরে গতকাল পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। ভোলা সদর থানার ওসি মোবাশ্বের আলী জানান, আমাদের কাছে ঘটনার কোন অভিযোগ আসেনি। সংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। অপরাধী যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন কোন ছাড় দেয়া হবে না।
"ঘটনার অভিযোগ আসার জন্য পুলিশ অপেক্ষা করছে... আবার অপরাধী কে তাও পুলিশ জানে কিন্তু অপরাধীকে ধরবে না। কারণ অভিযোগ আসেনি সেই ধর্ষকের বিরুদ্ধে। আবার ধর্ষক প্রভাব খাটিয়ে সেই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। তারপরেও পুলিশ আছে, অভিযোগের আশায়। এই যদি হয় পুলিশের কাজ যে অপরাধী সামনে ঘুরলেও ধরা যাবে না... তাহলেতো আর কি .... যা হবার তাই হবে।
চোখ বন্ধ করে সবাইকে সব দেখে যেতে হবে।
এই শুয়ুরেরবাচ্চাদের এমন শাস্তি দেওয়া দরকার যা দেখে আর যেন কেও কোন মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করার সাহস না পায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।