গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ দেলোয়ার হোসেনকে নীলফামারি জেলায় বদলি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওসিকে বদলি করা হয়। তবে পুলিশের পাঁচ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জনস্বার্থে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বদলি করেছে। পুলিশের সদর দপ্তর এ আদেশ দিয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের কাছে মাস্তা এলাকায় এক কিশোরীকে কান্নাকাটি করতে দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ওই দিন রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ। ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কিশোরীকে গোবিন্দগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. তারিখ হোসেনের আদালতে হাজির করে। আদালত কিশোরীকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
২ অক্টোবর আবার কিশোরীকে ওই আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। থানা হেফাজতে থাকার সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন বলে জবানবন্দিতে অভিযোগ করে ওই কিশোরী। এরপর আদালত কিশোরীর জবানবন্দি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২৯ তারিখ রাত ১১টার সময় পাহারারত নারী পুলিশের সদস্য খাওয়ার কথা বলে চলে যান। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য ওই কিশোরীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে ৭ অক্টোবর ‘প্রথম আলো’র বিশাল বাংলায় ‘পুলিশ হেফাজতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ পাঁচজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার দাবিতে সমাবেশ
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
সংগঠনের সভাপতি পপি চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, সহসম্পাদক আসমা আক্তার, সদস্য পূরবী চক্রবর্তী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে, তাদের হাতে আজ মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। এটা মানা যায় না।
অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না।
বক্তারা অবিলম্বে দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।
পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ, ওসি বদলি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ দেলোয়ার হোসেনকে নীলফামারি জেলায় বদলি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওসিকে বদলি করা হয়। তবে পুলিশের পাঁচ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জনস্বার্থে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বদলি করেছে। পুলিশের সদর দপ্তর এ আদেশ দিয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের কাছে মাস্তা এলাকায় এক কিশোরীকে কান্নাকাটি করতে দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ওই দিন রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ।
৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কিশোরীকে গোবিন্দগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. তারিখ হোসেনের আদালতে হাজির করে। আদালত কিশোরীকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ২ অক্টোবর আবার কিশোরীকে ওই আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। থানা হেফাজতে থাকার সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন বলে জবানবন্দিতে অভিযোগ করে ওই কিশোরী। এরপর আদালত কিশোরীর জবানবন্দি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শেখ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২৯ তারিখ রাত ১১টার সময় পাহারারত নারী পুলিশের সদস্য খাওয়ার কথা বলে চলে যান। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য ওই কিশোরীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে ৭ অক্টোবর ‘প্রথম আলো’র বিশাল বাংলায় ‘পুলিশ হেফাজতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ পাঁচজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার দাবিতে সমাবেশ
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
সংগঠনের সভাপতি পপি চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, সহসম্পাদক আসমা আক্তার, সদস্য পূরবী চক্রবর্তী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে, তাদের হাতে আজ মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। এটা মানা যায় না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না।
বক্তারা অবিলম্বে দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।