শিক্ষাতে নয়, শিক্ষতে চাই। টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের নেপথ্যে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর কাহিনী। মধুপুর উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিনেমা ও নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল তরুণীদেরকে ফাঁদে ফেলে অশ্লীল এবং পর্নো ফিল্ম তৈরি করে। ঘটনার দিন ওই চক্রটির ফাঁদে পড়েই ওই স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা গেছে, কথিত বান্ধবী বীথি আখতার ইভা ওই হতভাগা স্কুল ছাত্রীকে নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাঙ্গাইল থেকে মধুপুরে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে ইদিলপুর গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিডিও তৈরি করে । ঘটনা ফাঁস করলে পর্নো ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় ওই চক্রটি। পাশবিক নির্যাতনের পর আহত স্কুল ছাত্রীকে মধুপুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা রেললাইনের নিকট ফেলে রেখে চলে যায়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিনেমা ও নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল তরুণীদের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল এবং পর্নো ফিল্ম তৈরি করছে। দেশে প্রচলিত ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনকে অমান্য করে ওই চক্র ডিস লাইনে মধুপুর চ্যানেলে এসব অশ্লীল ভিডিও প্রচার করলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জানা যায়, মধুপুর উপজেলায় শতাধিক অবৈধ ভিডিও দোকান রয়েছে। এদের অধিকাংশই অবৈধ নাটক, অশ্লীল নাচ, গান এবং অবৈধ শর্ট ফিল্ম তৈরির সঙ্গে জড়িত। এরা অভিনয় ও সঙ্গীতের প্রতিভা খোঁজার নামে পোস্টারিং এবং মধুপুর চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এরপর শিল্পী বাছাইয়ের নামে চলে সুন্দরী তরুণীদের সিনেমা ও টেলিভিশনে অভিনয় করার প্রলোভনের খেলা। চক্রটি বাছাই করা তরুণীদের মধুপুর বনাঞ্চলের কয়েকটি লোকেশনে নিয়ে নাচ, গান ও নাটকের শুটিং করে।
হাতে কিছু টাকা পয়সাও ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ফাঁদে ফেলে অশ্লীল নাচ, গান ও শর্ট ফিল্ম তৈরি করে।
অনেক সময় এদের দেহ দানে বাধ্য করে। অবৈধ মেলামেশার মুহূর্তটি কৌশলে ডিভিওতে ধারণ করে রাখে। পরে চক্রটি এসব পর্নো ভিডিও ক্লিপ সিডি করে বাজারে বিক্রি করে।
শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ ও অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ গভীর রাতে মধুপুর চ্যানেলে দেখানো হয়।
বিগত ৮ বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ অবৈধ চ্যানেলে রাতদিন আপত্তিকর ভিডিও ফিল্ম চালিয়ে আসলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সম্প্রতি মধুপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশব্যাপী যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে এই অবৈধ ফিল্ম তৈরির কাহিনী।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনে এ ধরনের অবৈধ চ্যানেল চালানো অপরাধ। তবে এদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ পোস্ট, সুত্রঃ ইন্টারনেট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।