নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে কী ভীষণ ধুলিঝড়! মরুর লোমশ বালিতে মুখ গুজে আছি সারারাত, অতন্দ্র উটপাখি! প্রখর তৃষ্ণায় চোখের নোনা জল চাটি। হায় নোনাজল! তাওতো জলের হল্লোড়ে মিশে গেছে কবে অন্যমনে বঙ্গোপসাগরে, জল চাই জল! শুনে সাগর রক্ষী বৃষ্টিপোষাক পরিহিত আনত ঝাউ বৃক্ষগুলো ফিক ফিক করে হেসে উঠে, সাগরের একবুক নোনা জল দেখে তারা নাকি লজ্জিত! রক্তে রক্তে তক্ষক তোলপাড় করে, সবটুকু ভালো নিয়ে কাছে যাই, ভালোবাসি, জিহ্বা মেলে রাখি আকাশ পানে, আজ বৃষ্টি হবে না কি এই প্রত্ননগরে? নেইল পেইন্ট চর্চিত নখে তার বুক খুড়ি, ক্ষত বিক্ষত করি, পেতে চাই তার প্রত্নপ্রেম, চুমুতে চুমুতে জাগাতে চাই তার শরীরে সজল সাড়া, একটি যাত্রীবোঝাই কালো বাস এসে পিষে ফেলে ফল্গুকাল! অতর্কিতে। বেলকুনিতে ঝুলতে থাকা মানিকপ্লান্ট বেয়ে, অঝোর বৃষ্টির সাথে জনকোলাহল আর রক্তহোলি'র রঙ ধুয়ে গেলে, অকস্মাৎ নিঃশব্দে আমার স্তন্য জড়িয়ে থাকা নরকংকালটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। হায়! কালো বেড়াল চিরদিন কামনার পথ কেটে যায়, দ্বিতীয় ভাবনা আসে না মননে মেধায়, শৈশব সাথী কাঞ্চনমালার কাছে দীক্ষা নিয়ে ফেলি, তার হাড়গোড় জড়ো করি, অপূর্ণ বাসর থেকে গ্লানিময় অর্ন্তবাস তুলে নিয়ে পথে নামি, সঞ্চয়ে রাখি তৃষ্ণার কোলাজ! ঘুরি দেশে দেশে, নগ্ন প্রেতেনীর মত হাটি রাত্রীদিন তটে তটে, কোলাজ-করোটীতে দীর্ঘশ্বাস করে এপাশ ওপাশ। জল চাই জল! মরীচিকা বলে - জল চাও জল? পৃথিবীতে যাও ওখানে এখন মধ্য আষাঢ়, তৃষাতুর ছুটে আসি জল থৈ থৈ উপকুলে, জল আহা জল! তৃষ্ণাকে জল দেই, দু'হাতে অঞ্জলী ভরে! থুথু করে ফেলে দেয়, আরো তৃষাতুর হয়ে, ছি: ছি: এতো জল নয়, নোনা সাগরের পায়ে মাথা কুটে কাঁদছে আকাশ!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।