র্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে গত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হয়েছে। বুধবার সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ইসলাম ধর্মের মহিমান্বিত পাঁচ রজনীর অন্যতম শবে মিরাজ। ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-মিলাদ ও আখেরি মুনাজাতে সারাবিশ্বের মানুষের কল্যাণ কামনায় পালিত হয় পবিত্র শবে মিরাজ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশের মসজিদে মসজিদে আলোচনাসহ বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দিনটি পালন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
অধিক সংখ্যক মতৈক্য ও মুসলিম উম্মাহর নিকট ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার বিচারে ২৭ রজবই মহানবী (সা.) সশরীরে মিরাজ গমনের রাত। এই রাতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) মহান আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেন। লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রাত তথা ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণ। এ রাত অতি পবিত্র।
৬২০ খ্রিস্টাব্দের পবিত্র এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দিস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখানে জামায়াতে ইমামতি করে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। এ দিনে আসমানে হযরত আদম (আ.) ও বিশিষ্ট নবীগণের সঙ্গে বিশ্ব নবীর (স.) সালাম ও কুশলাদি বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এ পর্যন্ত হযরত জিবরাইল (আ.) তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
তারপর সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। মিরাজকালে মহানবী (স.) সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। পৃথিবীতে বসবাসকারী মানব সমপ্রদায়ের সঙ্গে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগের এ ঘটনায় ইহ ও পরলোকে সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত, নবীশ্রেষ্ঠ, ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ (সা.) আলোচিত চরিত্র এবং আলোকিত মহানায়ক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।