আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো পাঁচ...সাদিকের অনুরোধে আবারো ঢেকুর !!!

কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...

সাদিকের অনুরোধে আরেকটি পাঁচ নামাইলাম, নিজের ব্লগ যেহেতু তাই কারো কোন কিছু কওনের নাই আর প্রথম পাতায় কিছু ক্ষণ থাকলেও আশা করি আপনেরা খুব বেশি বিরক্ত হইবেন না। 1. 5 বছর বয়সে আমার জীবনে প্রথম দূর্ঘটনা আসে। স্কুলের ছাদের উপর থেইকা লাফ দিয়া সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান খেলতাম...তো ঐ দিনও যখন খেলতে আছিলাম.., আমার বন্ধু রিদওয়ান হঠাৎ পিছন থেইকা ধাক্কা দেওনে ব্যালানস হারাইয়া পরলাম বালির উপরে। পরনের পরেই কট কইরা একটা আওয়াজ, তারপর তো আর হাত সোজা হয়না। স্কুলের টিচাররা আর বিশেষ কইরা আমাগো গেমটিচার আযম স্যার রীতিমতো হুড়াহুড়ি শুরু করলো আমারে নিয়া।

বাড়িতে ফোন, দারওয়ান চাচারে পাঠানো এইসব করতে করতেই আমারে শিশু হসপিটালে লইয়া গেলো। আমি সেইখানে আমার ছবি আঁকছিলাম একটা। বাম হাত ভাঙ্গা ছবি। আমার মায়ের সংগ্রহে আছে ঐটা এখনো। আর আরেকটা কথা রিদওয়ান ঐটা করছিলো আমার উপরে খেইপা...অর মায় আছিলো আমগো বাংলার টিচার মিসেস কবীর...সে ক্যান আমারে বাংলায় বেশি নাম্বার দিতো এইটা ছিলো আমার অপরাধ! 2. বাপ-মায় গেছে আজমীর শরীফ।

বাড়িতে গার্জিয়ান হইলো আমার ছোট ফুফু। আমার হাতে কিছু টাকা দিছিলো মা যাওনের আগে। তো সবই ঠিকঠাক চলতাছিলো...তিনদিন পরেই আমার অবাধ্য আমি জাইগা উঠলো তার মতন কইরা। স্কুল থেইকা ফিরাই কাউরে না কইয়া রওয়ানা দিলাম রায়েরবাজারের দিকে। মুক্তি হল চিনছি তার কয়েক মাস আগে কাজের ছেলেটার লগে বাজারে যাওনের পথে।

তারপর সবাইরে টেনশনে রাইখা 6টা-9টা শো...রোজিনার দুনিয়াদারী...আমার প্রথম পালাইয়া সিনেমা দেখা। 3. শব-ই -বরাতরে আমরা ঢাকাইয়ারা দেখতাম আনন্দ উৎসবের মতোন। রাইতভর বিরিয়ানি/তেহারী খাইতে মসজিদে মসজিদে রাত্রিযাপন। বোম ফুটানি। তো ঐবার সামরিক জান্তা ক্ষমতায়।

কড়া নজরদারী। তারমধ্যে ভারতে নাকি বাবরী মসজিদ সহ আরো 9টা মসজিদ ভাঙছিলো...তার প্রতিবাদে মুসল্লীরা ভারতীয় হাই কমিশন ঘেরাও কইরা ইটাইটি শুরু করছিলো। আমি আর আমার এক বন্ধু লালবাগ থেইকা সোররা, গন্ধক আর ঝিল্লী নিয়া আইতেছি...পথিমধ্যে খাইলাম ধরা। ঐ আমার প্রথম হাজতবাস। পরের দিন জামিনে মুক্তি।

বাপ আছিলো না দেশে...মায় পুরা পুরান ঢাকা লইয়া হাজির হইছিলো থানাতে। এই দেইখা ওসি তো ভাবছে বড় পার্টি! সংঘবদ্ধ বোমাবাজ চক্রের অংশ হিসাবে কেস ঠুইকা দিছিলো। 4. নেশা যখন করতাম তার শেষ দিকের অভিজ্ঞতা...ড্রিম আর রিয়েলিটি গেছিলো গুলাইয়া...চোখ বন্ধ করলে যা দেখি তার লগে বাস্তবতারে ফেলি গুলাইয়া...আমি ঢাকা মেডিকেল হোস্টেলের ফজলে রাব্বী ভাইয়ের রুমে নিজেই নিজের ডেথ নোট লিখছিলাম...যেই স্বপ্নের পর ঐটা লেখা সেইটারে এখনো আমার দেখা সেরা স্বপ্ন অনুভূতি গুলির একটা হিসাবে বিবেচনা করি। 5. তখন একজনের প্রেমে পইরা হাবুডুবু খাইতেছি...কেন প্রেমে পরছিলাম তা আজো ভাবতে পারি না। তার ব্লগ পইড়া আমি রীতিমতো মর্মাহত হইয়া তারে পছন্দ করতে শুরু করি।

অদ্ভুত ছিলো তার ভালোবাসার ক্ষমতা। দুঃখে ভারাক্রান্ত থাইকাও পুরাতন প্রেমিকের প্রতি তার অপরিসীম নির্ভরতা আমারে রীতিমতো উদ্্বেলিত কইরা ছাড়ছিলো। কিন্তু তারে এই কথা জানানের পর সে আমারে না কইয়া দিলো...সেই সময় আমার পরিচয় মৌসুমের সাথে...দিনের পর দিন রাতের পর রাত আমরা নিজেদের সকল গোপন শেয়ার, সকল স্বপ্ন বিনিময়...মৌসুম আমারে আমার শৈশবের সমস্ত সমৃতি ফিরাইয়া দিলো কয়দিনেই। আমরা 21 দিন টানা ডেইট মারলাম...একদিন নূর ভাই, মানে আমার অফিসের ডিএমডি আমারে ধরলো অফিস বাংক মারা অবস্থায়। যাউগ্গা অনেক বাধা বিপত্তির পর আমরা একলগে থাকতেছি।

আমার জীবনে আমি এইরম পিছুটান নিয়া থাকিনাই আগে। ভালোবাসার অন্য সীমানায় আমি আছি আমি। আমার জীবনে মায়ের পর এই প্রথম আর কারো জন্য আমি শুণ্যতা অনুভব করি। অনেক ভালো আছি...ঠিক যেইরম থাকনের স্বপ্নআমি দেখি ঠিক সেইরম!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।