আমার হাতদুটো পা হয়ে গেলে আর পা হাত; তাহলে কি তুমি করমদর্নের সজ্ঞাটা পালটে দিবে
হাজার ওয়াট আলো চোখে ফেলে রাত্রি-দিন ইন্টারগেশন, বরফের চাঙ্গুরিতে শুইয়ে কুৎসিত যৌন অত্যাচার, খুলির সাথে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি, নোখের মদ্ধে শুচ, জলন্ত শলাকায় সারা গায়ে খত, পিটিয়ে পিটিয়ে হত্তা; এতকিছুর পরও আমরা বেল তলায় যাবই আর বেল তলার মালির সম্নোহিত কথায় আমাদের ঘরের চিড়া ভেজাবই।
ইন্টারনেট এ দিনকাল পত্রিকাতে পরেছিলাম (তারিখ মনে নাই, গ্রামের নাম টাও মনে করতে পারছিনা), মধ্যবিত্ত শ্রেনীর কয়েক টি সংসার কিছু নিন্ম শ্রেনীর শিশু দের কে দিয়ে মানুসের বাড়ীর রান্নাঘর থেকে ভাত চুরি করছে। এখন অন্তত বলতে পারি, নারীরা তোমরা গয়না পরে বের হতে পারবে,ছেলেরা তোমরা দামি মবাইল সেট আর টাকা পয়্সা পকেটে ভারি করে বের হয়ে যাও; ছিন্তাই হবার চিন্তা এখন নাই; কারন ওগুলো ছিন্তাই এখন কেউ করবে না এখন তো্মার বাজার করা চটের থলির উপর সবার নজর। তাহলে কি দেশ এ নিরব দুরভিক্ষ চলে এলো?
জানিনা, কি হচ্ছে; নিরব দুরভিক্ষ চলছে কিনা, কারন আমি মানুস টা ভাই প্রবাসী। বিশ্বাস করতে হয় শুনে কথা কে, পত্রিকা দেখলেও মনে খোঁচা লাগে হলুদ সাংবাদিকতানাতো? কারন, দেখা যাচ্ছে কোন কোন বেল তলার মালি বলছেন বাজার এখন শান্ত, কোন মালি বলছেন, এবার যদি এই বেল তলার ইজারা পাই তাইলে চালের দাম ১৫ টাকায় করেদিবো।
এখন সাধারন ভাবেই প্রশ্ন বা সংশয় জাগতে পারেনা? হা, এসব আকাশ কুশুম স্বপন এর কথা বেল তলার মালিরা আমাদেরশুনায় আর আমরা শুনে যাই , স্বপন দেখে যাই।
এখন দেখা যাক, আমি কেন কথা গুলো কে আকাশ কুশুম স্বপন বলাম?
আমি ছোট এক্তা মানুশ তাই আমার যুক্তিও ছোট। খাদ্য্দ্রব্যের দাম রাইজিং হবার জন্য আজ আমেরিকা দোষ দিচ্ছে ভারত আর চিন কে। কারন দেশ যত উন্নতি করবে সেই দেশ এর মানুশের খাদ্য চাহিদা তত বারছে, আর ভারত বলছে এটা আমেরিকার জন্য হচ্ছে কারন পর পর কতগুলো যুদ্ধ (সন্ত্রাশ নিরমূল যুদ্ধ সন্ত্রাশ করে )। হা যুক্তিটা কতটুকু প্রবো্ল জানিনা তবে বিশ্ব সিন্দিকেট এর কিছু কাজের জন্য আজ এমন হচ্ছে।
আর তার প্রভাব এখন বাংলাদেশ ও পরছে। কারন আমাদের যতই বাম্পার ফলন হোকনা কেন আমাদের সিন্দিকেটরা (বেল তলার মালিকদের দয়াতে) তাদের কিন্তু বিজনেজ জমেনা সাধারন মানুশ কে ভারতীয় চাল না খাওয়ালে। নিজেদের কিছু আকাম কুকাম এর জন্য আজ যেশব বেল তলার মালি আর বিজনেজ মেন রা কারাগারে আছেন, তাদের সিন্দিকেটদের একটা ছোট বিপ্লব ও হতে পারে এটা ব্রতমান বেল তলার মালির প্রতি।
এখন বরতমান বেল তলার মালির শাথে অন্য মালির দলের শাথে সংলাপের মাস চলছে। তাদের এখন এক কথা এক দাবি, কারাগারএ আমাদের নেত্রিরা আছেন তাদের মুক্তি না মিল্লে সংলাপ হবেনা।
কিন্তু কোন মালি কি একবার মুখ খুলে বলেছে, "দেশের মানুশএর মুখে কিভাবে খাবার জুটানো যায় আশুন একবার ভাবি?"। আসলে সবাই আমরাসবার পিছনে এক্তা বড় বাঁশ তেল দিএ নিএ দাড়িএ আছি। আর আমাদের ও লজ্জাশরম এর বালাই নাই, আমরাও আজ ফুলের মালা নিয়া বশে আছি কখন কারাগার মুক্ত হবেন আমাদের মালিরা। তাদের জন্য আজ গন অনসন করছি, হা মালি এশে এক গ্লাস টেং এর জুশ খাওয়ালেই সব ভুলে যাব। আমরা মরব তবু বেল তলায় যাব, মালির কথায় চিরা ভেজাব।
এই আমরাই তাদের মুক্ত করব, আমরাই তাদের জন্য ব্লগে ব্লগে ঝগ্রা করব। আমরাই এদের কে ভোট দেব। কিন্তু কাজের বেলাই ঠন্ঠনাঠন আর ইতিহাস নিয়ে বাহাজ করব। কে জাতির জনক, কে ঘোষক। ইতিহাস কে আজ সুকেচে বন্ধি করে রাখ, আমার চোখে স্বাধিনতার ঘোষক সবাই ছিল।
"মা আমি যুধ্বে জাব, আয় ভাই যুধ্বে যাই" এই কথা বলে যারা সেদিন যুধ্বে গিয়েছিল তারা কি স্বাধিনতার ঘোষক হতে পারেনা? তাহলে কেন আজ আমরা সংসদ এ বসে সময় নশ্ট করি? তারপর ও আমরা সেই বাহাজ দেখি, আর এই বাহাজ কে আমি বাইশকপ দেখা বলি। আর ভোট দেয়াকে বলি সেই বাইশকপ দেখার টিকেট।
হে পথিক, ধস নামা কয়লার মিথেন অন্ধকার থেকে কঠিন হিরার মত চোখ আর ইশপাতের হাতুরির মত শক্ত তোমার পেশিবহুল শরীর নিয়ে বেরিএ এসো। জেগে উঠো, গরজে উঠো। গরজে উঠুক দল মাদল আর মুখথুব্রে পরে থাকা গ্রাম।
জাগো পথিক জাগাও তোমার চিত্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।