নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার এক সভায় তিনি বলেছেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন না হলে আমরা তাতে অংশগ্রহণ তো করবই না, তা বানচাল করব। ”
জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ‘জাতীয় সঙ্কট নিরসনে দরকার নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংবিধান সংশোধনের ফলে এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি।
হান্নান শাহ বলেন, “বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা চায় না।
আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা পরিবর্তন চাই। সরকারকে বলব, নয়-ছয় করে লাভ হবে না। সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল আনুন। ”
নবম সংসদের কার্যকাল আগামী ২৫ অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার এই বক্তব্য নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
“তিনি অতীতে ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে বলেছিলেন, স্বৈরাচার এরশাদের অধীনে যে বা যারা নির্বাচন করবে, তারা জাতীয় বেঈমান হবে।
কিন্তু কী দেখা গেল? বাস্তবতা হচ্ছে- শেখ হাসিনা এরশাদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ”
গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জাকির হোসেন ভুঁইয়া, এম এ হান্নান বক্তব্য রাখেন।
প্রেসক্লাবে আরেক আলোচনা সভায় বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
“নইলে ঈদের পর আন্দোলনে এর ফয়সালা হবে। আন্দোলনে মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।