সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, “আশরাফ সাহেবের বক্তব্যে যা বুঝি, এটাই তারা চাচ্ছে, এখানে অন্য কোনো দল ছাড়া নির্বাচনের নাটক করবে। তারাই সরকার গঠন করবে।
“এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, তারা আবার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। ”
বুধবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেছিলেন, পরবর্তী নির্বাচন ৫ বছর পর বর্তমান সংবিধান অনুসারেই হবে। এর মধ্যে সংবিধানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচিত অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই হয়।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে অংশ নিতে আপত্তি জানিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। তারা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
আশরাফের বক্তব্যে বিএনপির সেই আহ্বান কার্যত প্রত্যাখ্যাত হলেও ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ ‘একদলীয়’ এই শাসন কখনোই মেনে নেবে না।
দেশ ও গণতন্ত্রের ‘স্বার্থে’ সব দলের অংশগ্রহণে অতিদ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির এক শুনানিতে সব দলকে নিয়ে আগাম নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
ফাইল ছবি
“আমরা মনে করি, অতিদ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের উদ্যোগ সরকারের নেয়া উচিত।
এটা যত দ্রুত করা হবে, দেশের জন্য তত মঙ্গল হবে। ”
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান বিরোধী দলের দাবিকে জোরালো করেছে বলেও মনে করেন বিএনপির মুখপাত্র।
“আমরা সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। এদেশের মানুষ প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ স্বীকার করেছে, দেশে নির্বাচন হয়নি।
”
ফখরুল গত ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার গলার ধমনীতে রক্ত চলাচলে জটিলতার চিকিৎসা হয়। তার সঙ্গে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও গিয়েছিলেন।
চিকিৎসা শেষে রাতে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ফখরুল। সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।