।
।
।
।
।
।
।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে গত শনিবার মাত্র দু’ঘণ্টার ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাতে বিবেকবান যে কারও মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে—আসলে এটা কোনো ছাত্রদের আবাসিক হল নাকি কোনো অস্ত্রাগার? উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল ১২টি কিরিচ, ২৫টি রামদা, ১৩টি হাসুয়া, ২৫টি লোহার রড ও পাইপ, ৩টি চাইনিজ কুড়াল, ৬টি হাতুড়ি, ২টি ক্ষুর ও ২০টি মদের বোতল। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এতগুলো অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার করার পরও পুলিশ বা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি।
এমনকি থানায় একটি জিডি ছাড়া কোনো মামলাও হয়নি। বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশসানের ভূমিকায় আতঙ্কিত সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
তল্লাশি অভিযান চালানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে গ্রেফতার এড়াতে নেতাকর্মীরা খালি হাতে পালাতে সক্ষম হলেও তাদের ব্যবহার করা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যেতে পারেনি। হল প্রশাসনের সহযোগিতায় মতিহার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাসুদুল আলম কয়েক প্লাটুন পুলিশ নিয়ে দুপুর ৩টার দিকে হলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।
সেদিন উপস্থিত সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহল আতঙ্কিত হয়ে পড়ে দৃশ্য দেখে। হলের ২২২, ২২৪, ২২৫, ২২৬, ২২৮ ও ২২৯ নম্বর কক্ষসহ আরও কিছু কক্ষ থেকে ২ ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই অভিযানে প্রায় শতাধিক অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে। ওইসব কক্ষগুলো কার নামে বরাদ্দ, সেখানে কারা থাকে পুলিশ এখন পর্যন্ত সেসব তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। নেয়া হয়নি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থাও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।