প্রযুক্তির স্পর্শে সবুজ নগরীর স্বপ্ন
রেটিং :
Bookmark and Share
নাজির সালেহীন জয়, আদনান ইবনে খায়ের ও সারাহ তাবাসসুম
তৌহিদ এলাহী
'ঢাকা নগরীর নানা অব্যবস্থাপনা দেখে অনেক ভেবেছি, কোটি মানুষের এই শহরকে কি আরেকটু বাসযোগ্য, আরেকটু সুন্দর করা যায় না? সেই ভাবনার অনুবাদই এই নতুন প্রজেক্ট। ' বলছিলেন মাইক্রোসফট আয়োজিত ইমাজিন কাপ-২০১০ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া ড্রমকেইভ দলের তিন সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাজির সালেহীন জয়, আদনান ইবনে খায়ের এবং সারাহ তাবাসসুম 'ড্রিমকেইভ' দলের ব্যানারে উইআর্থ প্রকল্প উপস্থাপন করেন। আর ঢাকাকে মডেল হিসেবে ধরে বিশ্বজুড়ে সবুজ, সুন্দর বাসযোগ্য শহরের স্বপ্ন দেখেন ওরা।
সারা তাবাসসুম জানান, আমাদের প্রস্তাবনাটি বাস্তবধর্মী।
পরিবেশ দূষণ, সড়ক দুর্ঘটনা, সবুজায়ন, লিঙ্গবৈষম্য বা স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর সমাধান আছে আমাদের প্রস্তাবনায়। আমরা এর আগে প্রতিযোগিতায় পুরস্কারজয়ী দলগুলোর প্রস্তাবনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করেছি। সে অনুযায়ী আমাদের প্রকল্পটি অধিক বাস্তবতাপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময়। তিনি ভবিষ্যৎ সাফল্য নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। নাজির সালেহীন জয় প্রকল্পের প্রাথমিক কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, 'জাতিসংঘের মিলেনিয়াম গোল ডেভেলপমেন্টের ৮টি বিষয়বস্তুকে কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা যায় তা নিয়েই এ প্রতিযোগিতা।
সুদীর্ঘ ৭ মাস নিরলস পরিশ্রম করে তাদের এ প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়েছে। মাইক্রোসফটের সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তি সিলভার লাইট, ব্ল্যাকলাইট, বিংম্যাপ, এসপি নেট ইত্যাদি ব্যবহার করে এ প্রকল্পটি ডিজাইন করা হয়েছে। ' দলের আরেক সদস্য আদনান ইবনে খায়ের বলেন, 'তারা তিন মাস আগে তাদের প্রোগ্রাম প্রস্তাবনা মসধমরহবপঁঢ়.পড়স-এ জমা দেন।
একটি এলাকায় সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিংম্যাপে সিগন্যাল দেওয়া হবে যে ওই নির্দিষ্ট এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
অথবা অপরাধমাত্রা বেড়ে গেছে। ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। লোকজন আগে থেকেই সতর্ক হবে যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে। এভাবে কার্বন-ডাইঅক্সাইড, পরিবেশ দূষণ নিয়েও সতর্কবার্তা দেবে তাদের প্রজেক্ট। গ্রিনরেফ্রিজারেটর, জিওথার্মাল প্রযুুক্তি, ফ্লুরোসেন্ট লাইট ইত্যাদি এলাকাভিত্তিক ব্যবহারকারীর হিসাব জমা থাকবে।
সঙ্গে থাকবে এর আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং তা প্রচলিত প্রযুক্তির চেয়ে কতটা সাশ্রয়ী তাও দেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো লাল দাগাঙ্কিত এবং ঝুঁকিমুক্ত এলাকা সবুজ দাগাঙ্কিত থাকবে। এ সিগন্যালগুলো যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সবার কাছে সহজেই পেঁৗছে যাবে। এগুলোই হচ্ছে উইআর্থ প্রকল্পের মূল বিষয়বস্তু। প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে ইমাজিন কাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রতিযোগী অংশ নেয়।
সেমিফাইনাল পেঁৗছেছে ৩৭টি দল। প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১ জুন। পোল্যান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।