এ এক মহান সৃষ্টিশীল জগৎ
চরম অসত্যের বুনিয়াদের উপর সৃষ্ট বিরাট রঙ্গশালা
অত্যন্ত নগণ্য মানুষ অসত্যের রঙ্গে পারদর্শী নয়
তাদের জন্যও নয় এ বিরাট মঞ্চ -
এতটুকু জায়গা তাদের জন্য নয়।
এ রঙ্গশালার মালকিনতো কাউকে টেনে নিবে না নিজের কাছে
যতক্ষণে না সে সত্য না অসত্য কোনটিতে পারদর্শী না হয়।
এ রঙ্গশালার সৃষ্টিকর্তার নিকট পৌঁছানোর জন্য
একটু হলেও কোন কিছুতে পারদর্শী হতে হয়,
তবুও কিছু কিছু শিশু ভাগ্যক্রমে চলে যায় অন্য সময়-এ, অন্য এক জগতে।
আমি বলছি, আমি ভাগ্যবানদের একজন নই,
আমি অত্যন্ত নগণ্য মানুষের মধ্যে অন্যতম।
এটা শুধু আমি কেন- কারও কাছে গর্বের বিষয় নয়;
আমি এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত কেন না
পারদর্শী মানুষ দ্বারা প্রতিনিয়ত আমি হচ্ছি প্রতারিত
ভুল জন্মের জন্য আমার ধ্বংস অবধারিত।
সবাই সবার জায়গায় ঠিক আছে
শুধু আমি অন্য নগণ্য মানুষদের মত
ছুটে যাওয়া মেঘের মত
নিজের মনের ভেতর প্রতিদিন
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে যাই।
এ কোনো সুখকর অনুভূতি নয়,
অনেক মানুষকেই এ ধরনের অনুভুতির সম্মুখীন হতে হয় না,
যদিও প্রত্যেকটা মানুষ নিজের অবস্থানে অসুখী।
এ এক চরম মানসিক রোগ
কিন্তু প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ এই রোগে ধুঁকছে,
ধুঁকতে ধুঁকতে তারা একসময় চলে যাচ্ছে অন্যসময়ে।
আমার প্রশ্ন, অন্য সময়ে যাওয়ার প্রয়োজন কি?
মানুষ কি নশ্বর হতে পারে না?
যখন মৃত্যুর মানে হবে ধ্বংস, সবকিছুর ধ্বংস?
জানি না, কিচ্ছু জানি না।
এত কিছু অজানার ভিড়ে
আমি প্রতিদিন একটু একটু করে ধ্বংস হচ্ছি।
আমি শুধু এতটুকু জানি
আমাকে এক শক্তিশালী শিকল দিয়ে
এ রঙ্গশালার মঞ্চের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে,
আমার কোন মুক্তি নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।