যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ভলবোতে দুচারটে সুন্দরী মেয়ে মিলে যাবেই। এবং জান বাচানোর জন্য আমি নিরাপদ দূরত্বে বসতে অভ্যস্ত। গতকাল যথারীতি একজনকে সামনের সাড়িতে দেখে আমি একদম পেছনের রাশি রাশি খালি সাড়িতে বসে ফুর্তাই। কিন্তু ফার্মগেটে পৌছুতে তাথৈ তাথৈ ক্রাউড। এবং একজন সুন্দরীও আমার পাশে শেষ জায়গাটুকু পেলেন।
সৌন্দর্য্যের বিষ সন্বন্ধে আমার ধারণা আছে বলে ভয়ে কুকড়েমুকড়ে বসে থাকি। কিন্তু যেখানে রাজাকারের ভয় সেখানেই যুদ্ধ হয়। তিনি গরমে ক্লান্ত হয়ে নুইয়ে পড়ছিলেন। জানালার পাশে প্রানটা টেনে নেবার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি তাকে জানালার স্পেস দেই।
কিছুক্ষণ পরে তিনি আরো ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। জানালা দিয়ে মুখ বের করায় বাধা হয়ে দাড়ানো একটা লোহার ডান্ডাকে কিছুক্ষণ বিষেদগার করলেন। তার ভ্রূকুটিতে লোহা নরম না হলেও কিছু নরম লাভা আমার গায়ে ছিটকে এলো। সামনের সিটের ভদ্রলোক আরে কি করেন কি করেন বলে সে উপহার গ্রহণ অপরাগতা প্রকাশ করলেও ভদ্রমহিলা আমাকে পিছু হটতে দিলেন না। এক হাতে আমার হাত ধরে অন্য হাত নাকের উপরে দিয়ে জানালাকে অবজ্ঞা করলেন।
আশেপাশে সবাই নিরাপদ দূরত্বে ছুটে গেল। কিন্তু সব উপহার জুটলো আমার কোলজুরে!
এই উপহারের সাথে আমার সন্বন্ধ সুগভীর। দেখলেই হলো আমিও উপহার প্রদান করে থাকি। সহজজাতভাবে বের হতে থাকে। ভদ্রমহিলা আর তা জানবেন কি করে! নিরাপদ আশ্রয় জুটলো ভেবে তিনি যখন তৃপ্তির ঢেকুর উঠানো শেষ করলেন তখন আমি আমার দুপুরের খাদ্যসামগ্রী তার কোলে ঢেলে দিলাম।
উপায়হীনা আমার মাথা ধরে সাহায্য করলেন সঠিক উদগীরণের!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।