আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বিশিষ্টজনদের অভিমত| পর্ব-৪

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। সংশোধনী প্রস্তাবে অন্যান্য ধর্মকেও সমমর্যাদা ও সমানাধিকার দেয়ায়-সাংঘর্ষিক কিছু থাকার সুযোগ নেই - আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ বলেছেন প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনীর সুপারিশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ থাকার পরে অন্যান্য ধর্মকেও সমমর্যাদা ও সমানাধিকার দেয়ায় সাংঘর্ষিক কিছু থাকার সুযোগ নেই। তবে যদি কোনও আপত্তি থাকে তবে তা সংসদে সংবিধান সংশোধনীর বিল উত্থাপনের পর আলাপ-আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ বিরোধী দলসহ সবারই আছে। সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে এক একান্ত সাক্ষাতকারে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রশ্ন: সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত সংসদীয় বিশেষ কমিটি তাদের সুপারিশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহ ও ধর্ম নিরপেক্ষতা একই সঙ্গে রাখার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে-এটাকে আপনি সাংঘর্ষিক কোনও প্রস্তাব মনে করেন কি? ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহ ও ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধান সংশোধনী সম্পর্কিত সুপারিশে রাখার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মকে সমমর্যাদা ও সমানাধিকার দেয়া হয়েছে। তাই এ প্রস্তাবে সাংঘর্ষিক কিছু থাকার সুযোগ নেই। তবে বিরোধী দলসহ যদি কারও কোনও আপত্তি এসব সুপারিশে থাকে সংসদে সংবিধান সম্পর্কিত সংশোধনী বিল উত্থাপনের পর তা নিয়ে আলাপ-আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ আছে। আলোচনার অঢেল সুযোগ সংসদে এ সম্পর্কিত বিল উত্থাপিত হওয়ার পর সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়েরই আছে। প্রশ্ন: সংবিধান সংশোধনে গণ ভোটের প্রয়োজন আছে বলে বিরোধী দল বিএনপি’র পক্ষ যে দাবি তোলা হয়েছে-এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি? ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ: সংবিধান সংশোধনের জন্য গণ ভোটের কোনও বিধান বর্তমান সংবিধানে না থাকায় এ প্রশ্নে গণ ভোটের কোনও সুযোগ নেই।

সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ৫ম সংশোধনীতে গণ ভোটের যে বিধান জারি করা হয়েছিল তা উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যাওয়ায় সংবিধানে এখন আর সংবিধান সংশোধনের জন্য গণ ভোট আয়োজনের কোনও বিধান নেই। প্রশ্ন: সংবিধান সংশোধনের নামে সরকার দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে বিরোধী দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে-এ সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ: সংবিধান সংশোধনী সম্পর্কিত বিল সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর এ সম্পর্কে বিরোধী দলের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং এ নিয়ে কোনও অস্থিরতা সৃষ্টি করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ, উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান সংশোধনীর যে সুপারিশ বিল আকারে সংসদে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে তাতে বিরোধী দল সংসদে এসেই তাদের যে কোনও সুপারিশ দিতে পারে কিংবা আলোচনা করতে পারে। সরকার তো একতরফাভাবে সংবিধানে কোনও সংশোধনী আনছে না।

তাই রাস্তা-ঘাটে এ নিয়ে হরতাল, আন্দোলন কিংবা গাড়ি ভাংচুর করা গণতন্ত্রের জন্য শোভনীয় নয় বলে আমি মনে করি। প্রশ্ন: প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক বিতর্কের অবসান হবে বলে আপনি মনে করেন কি? যদি না হয় তাহলে করনীয় কি? ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ: সংসদে সংবিধান সংশোধনী সম্পর্কিত বিল উত্থাপনের পরে এ নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের আলোচনার অবারিত সুযোগ যেহেতু রয়েছে-তাই প্রস্তাবিত এই সংবিধান সংশোধনী বিলের আলোচনায় অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়েই তার অবসান ঘটবে বলে আমি আশাবাদী। সংসধীয় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যা বা বিতর্কের অবসান ঘটা সম্ভব বলেই আমি বিশ্বাস করি। প্রশ্ন: কোনও কোনও মহল মনে করে জাতীয় সংসদ সংবিধানের মৌলিক কোনও পরিবর্তন করতে পারে না-এর জন্য প্রয়োজন গণ পরিষদ অর্থাৎ সংবিধান সভা গঠন। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি? ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ: সংবিধানের কোনও মৌলিক পরিবর্তন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে করা হচ্ছে না।

বরং সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বহাল ৫ম সংশোধনীতে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে যে পরিবর্তন আরোপ করা হয়েছিল তা উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল ও অবৈধ হয়ে যাওয়ায় ’৭২-এর মূল সংবিধান পুন:প্রবর্তন করার জন্যই এ সংশোধনী বিল। তাই এ ক্ষেত্রে গণ পরিষদ গঠনের প্রয়োজন নেই। সংবাদটি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় ২৫.০৬.১১ তারিখে প্রকাশিত ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.