সাহাদাত উদরাজী www.udrajirannaghor.wordpress.com আমি জানি একজন প্রবাসী ভাই বোন, প্রবাসে রোজার দিনে কেমন কষ্ট করেন। বিশেষ করে রোজার দিনে (তিনি যদি রোজা রাখেন) ইফতার ও সেহরীতে একজন প্রবাসী কেমন কষ্ট করেন তা আমার চেয়ে আর বেশী কে জানেন? আমি এক সময়ের প্রবাসী এবং বিশিষ্ট ব্যচেলর (!) ছিলাম। রান্না না জানার কারনে কত বেলা কত কি খেয়ে থেকেছি! বিশেষ করে রোজার দিনে এই কষ্ট আরো বেশি হত। ইফতারে না থাকতে পারতাম অফিসে, না যেতে পারতাম মসজিদে, না হোটেলে! মসজিদে গেলে কেমন মনে হত, লোকে ভাবতে পারে বাসায় খাবার নেই বলে মসজিদে! অফিস এমন সময় ছুটি হত ইফতারে থাকাই যেত না! আর হোটেলে ইফতার করার টাকা থাকত না (মাসিক হোটেলের কার্ড থাকার কারনে, ইফতারে আরো বেশি খরচ করতে চাইতাম না)!
যাই হোক, আমার এখন আর সেই দিন নেই। আমি এখন নিজেই রান্না করতে পারি এবং অনেক কিছুই শিখে ফেলেছি! এখন রান্না জানা অবস্থায় প্রবাসে থাকতে পারলে ভাল হত।
অনেক বাজে স্মৃতি থেকে বেঁচে যেতাম! এখন যারা প্রবাসে আছেন, তারা মোটামুটি অনেক সচেতন। গত ২০ বছর আগের প্রবাসী আর এখনকার প্রবাসী এক নন! তবুও অনেক প্রবাসী থেকে যা শুনি তাতে আমার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায়। রান্না না জানার কারনে এখনো অনেক প্রবাসীর আমার মত দশাই হচ্ছে বা হবে!
আমি শুধু আপনাদের বলবো, রান্না শিখে ফেলুন। খুব কঠিন কাজ নয়। শুধু দরকার একটু ধৈর্য এবং একটু ভালবাসা! ব্যস।
যাই হোক আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। প্রবাসী ভাই, বোন বুন্ধুরা চলুন, ইফতারের আমাদের নিত্য কিছু খাবার দেখে ফেলি। আপনার হাতের কাছে সবই আছে, প্লিজ নেমে পড়ুন। দেশি ইফতারের মজা নিন।
রেসিপিঃ ছোলা ভাজি (আলু, টমেটো যোগে)
রেসিপিঃ পেঁয়াজু (প্রবাসীদের জন্য)
রেসিপিঃ পুদিনা আলুচপ (রান্নাতো আপার জন্মদিনে)
কষ্ট করে আপনাদের আমার পারসোন্যাল ব্লগে যেতে হল বলে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আসলে আমার রেসিপি গুলো লিখাই হয়ে থাকে আপনাদের জন্য, ছবি দেখেই আপনারা রান্না করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে যারা প্রবাসী এবং ব্যচেলর (যারা দেশে মেসে থেকেও জীবন উপভোগ করছেন, তাদেকেও আমি অনুরোধ করি)!
সবাই ভাল থাকুন, ভাল খাবার খেয়ে জীবন কাটুক আমাদের সকলের। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।