শিক্ষিত মায়ের হাতেই গড়ে ওঠে শিক্ষিত জাতি। একজন মা-ই পারেন তাঁর সন্তানকে সুন্দর ও মানবিক ভাবে গড়ে তুলতে, মা-ই প্রথম সত্য ও সুন্দরের পুজারী হতে শেখান; কেননা সন্তানের উপর মায়ের প্রভাব অনস্বীকার্য। আর তাই নৈতিকতা ও শিষ্টাচার শিক্ষায় একজন মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান।
মানুষ একা একা বাস করতে পারে না, তাকে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক, মানুষে মানুষে যে আচরণ তা শিষ্ট বা ভদ্র হওয়া বাঞ্ছনীয়।
একজন মানুষের ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, শুভ ও অশুভ জ্ঞান যেমন থাকতে হয়, তেমনি সব সময় নিজের সাথে অপরেরও মঙ্গল বা কল্যাণের প্রচেষ্টাও থাকতে হবে। তার ব্যতিক্রম হলেই সমাজের নীতি-নৈতিকতা ও শিষ্টাচার ভেঙে পড়ে। এ কারনেই শিশুকাল থেকেই একজন মানুষের শিষ্টাচার শিক্ষার প্রয়োজন। শিষ্টাচার একজন মানুষের জীবনকে পরিশীলিত করে, সমৃদ্ধ করে, চেতনাকে জাগ্রত ও বোধকে শাণিত করে। তাই মানুষের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য নৈতিকতা এবং শিষ্টাচার শিক্ষার প্রয়োজন অপরিহার্য।
আমাদের জাতীয় জীবনে আজ যে অবক্ষয় তার মূলে শিষ্টাচারের অভাব। এর ফলে নীতিবোধ ও চক্ষুলজ্জা বিসর্জন দিয়ে সমাজে ন্যায়-অন্যায়, ভালোমন্দ, সুন্দর-কুৎসিত সবই এক হয়ে গেছে। আজ তাই সুষ্ঠু সামাজিক পরিস্থিতি, সুগঠিত জীবন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য পরিচর্যা এবং সর্বপরি মানুষে মানুষে যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা-সম্প্রীতির বন্ধন ভেঙ্গে যেতে বসেছে। এই ভেঙে পড়া অবস্থা থেকে ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে রক্ষা করতে হলে শিশুকাল থেকেই শিষ্টাচার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
(আগামী পর্বে সমাপ্ত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।