আমি মন্দ.... আমি ভাল.... স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের কিছু অংশ সংশোধনের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো আবেদন করেছে সরকার। গতকাল এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের আপিল বিভাগে আইনি পেশা পরিচালনা সম্পর্কিত সংবিধানের ৯৯ (২) অনুচ্ছেদ সংশোধনের এই আবেদন করেন। বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পরে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্মুদ্রিত সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের সাবেক (অবসরপ্রাপ্ত বা অপসারিত) বিচারপতিরা আপিল বিভাগে আইনি প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। আমরা এ বিষয়টি মার্জনার আবেদন করেছি।
পঞ্চম সংশোধনীতে আপিল বিভাগ অনেক বিষয় মার্জনা করেছে। মূল সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমরা এ বিষয়টিরও মার্জনা চেয়েছি। সংবিধানের ৯৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত বিচারকরূপে দায়িত্ব পালন ব্যতীত বিচারক পদে দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের পর কিংবা অপসারিত হইবার পর তিনি কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট ওকালতি বা কার্য করিতে পারিবেন না অথবা বিচার বিভাগীয় বা [আধা বিচার বিভাগীয় পদ অথবা প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ] ব্যতিত প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে বহাল হইবেন না’। আবার ৯৯ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগের পদে বহাল থাকিলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের বা অপসারিত হইবার পর তিনি আপিল বিভাগে ওকালতি বা কার্য করিতে পারিবেন’। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের জন্য সংবিধান প্রদত্ত এ সুযোগটি বর্তমান পুনর্মুদ্রিত সংবিধানে নেই।
তাই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা যাতে ওকালতি করতে পারেন সে জন্য সরকার এই আবেদন করলো। এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচারপতিরা ওকালতির সুযোগ না পেলে তাদের মক্কেলরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ কারণে শুধুমাত্র বিচারপতিদের অংশ সংশোধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
মাহবুবে আলম জানান, রোববার হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ও বর্তমানে আপিল বিভাগে আইন পেশায় নিয়োজিত সৈয়দ আমীরুল ইসলাম আপিল বিভাগে শুনানি করতে এলে বিচারপতি এস কে সিনহা তার মামলার শুনানি স্থগিত করেন।
সরকার গত ১০ই ফেব্রুয়ারি সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করে।
পুনর্মুদ্রিত সংবিধানের ৯৯ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করে সরকার। এ কারণে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত স্থায়ী বিচারপতি আপিল বিভাগে ওকালতি করার সুযোগ হারান। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় ১৯৭৭ সালে এক সামরিক ফরমানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের আপিল বিভাগে ওকালতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই ফরমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা এতদিন ওকালতি করে আসছিলেন।
এদিকে পুনর্মুদ্রিত সংবিধান নিয়ে বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ এবং বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট বিচারাধীন রয়েছে। গত ৬ই জুন এ রিট আবেদনটি করা হয়। এতে পুনর্মুদ্রিত সংবিধানের মূলকপি সরবরাহের জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।