লালমনিরহাট থেকে ॥ জেলার পাটগ্রাম ও কালীগঞ্জ উপজেলায় এবারে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভুট্টা চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ ছাড়াও সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ ছিল কৃষকের নাগালে। ফলে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক দামও পাচ্ছে কয়েক বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি।
তাই কৃষকের চোখেমুখে হাসি ।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটগ্রাম কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ৬শ' হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮শ' হেক্টর জমিতে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে। বর্তমান বাজারের কাঁচা ভুট্টা প্রতিমণ ৫শ' টাকা থেকে সাড়ে ৫শ' টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভালভাবে শুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮শ' টাকা থেকে ৮শ' কুড়ি টাকায়। জগতবেড় ইউনিয়নের কৃষক হামিদুল বলেন, ভুট্টা চাষের অনুকূল আবহাওয়া বাজারের সার, বীজ সরবরাহ থাকায় ভুট্টা চাষে এ বছর কৃষক অনেক লাভবান হবে। কয়েক বছরের তুলনায় দামও এ বছর অনেক বেশি। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে ভুট্টা শুকাতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, এ অঞ্চল ইতোমধ্যে ভুট্টা চাষে খ্যাতি অর্জন করেছে।
দেশের মোট চাহিদার প্রায় ২৫ ভাগ ভুট্টা পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধায় উৎপাদন হয়। ভুট্টাচাষিদের রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় দেড় শ' কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। এ ঋণের আদায় ও শতভাগ হচ্ছে। তাই এ অঞ্চলে ভুট্টা প্রসেজিং মেশিন স্থাপন ও ভুট্টা সংরক্ষণের জন্য সরকারীভাবে গোডাউন নির্মাণের দাবি জানান। সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ও আতাউজ্জামান জানান, ভুট্টা চাষে অনুকূল পরিবেশ চাষিদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় গত বছর এক হাজার ৬শ' ৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল এ বছর এক হাজার ৯শ' ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
উলেস্নখ্য, ইতোমধ্যে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলা ভুট্টা চাষের জন্য সুখ্যাতি অর্জন করেছে। হাতীবান্ধা উপজেলায় সানিয়াজান নদীর ওপর ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি রাবার ড্যাম নির্মাণ হচ্ছে। এ রাবার ড্যামটির কাজ শেষ হলে সানিয়াজান নদীর পানি দিয়ে ২ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক চাষাবাদ করতে পারবে। ফলে এ এলাকায় ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ভুট্টা চাষ লাভজনক হলে ক্যাশক্রপস হিসেবে তামাক চাষের বিকল্প হিসেবে কৃষক চাষ করবে। ফলে এ অঞ্চলে তামাকের চাষ দিনদিন কমে যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।