আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গোপসাগরের দুটি ব্লকের গ্যাস উত্তোলনে কনক-ফিলিপসের সঙ্গে দেশ বিরোধী চুক্তি করেছে সরকার।

good গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস'র সঙ্গে চুক্তি সই করেছে পেট্রোবাংলা। গ্যাস রফতানির সুযোগ রেখে মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস'র সঙ্গে এ চুক্তি সম্পাদন করে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে পেট্রোবাংলার পক্ষে সংস্থার সচিব ইমাম হোসেন ও সরকারের পক্ষে জ্বালানি বিভাগের উপসচিব একে মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কনোকোফিলিপস'র পক্ষে কোম্পানির এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লেফারেন্ডার সই করেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সংক্রান্ত সংদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, জ্বলানি সচিব মেজবাহ উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের ১০ ও ১১ নম্বর বস্নকের যেসব স্থানে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নেই শুধু সেখানেই তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে কনোকোফিলিপস। চুক্তির ১৫.৫.৪ ধারা অনুযায়ী পেট্রোবাংলার অনুমোদন নিয়ে কনোকো গ্যাস এলএনজি আকারে রফতানি করতে পারবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে চুক্তি বাতিলের পুরো ক্ষমতা পেট্রোবাংলার কাছে রাখার পরামর্শ দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু পেট্রোবাংলা মার্কিন এ কোম্পানির আপত্তির কারণে এ বিষয়ে অনেকটাই ছাড় দিয়েছে। ২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০০৮'র অধীনে দেশের সমুদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়।

এতে সাতটি আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি ১৫টি বস্নকের জন্য দরপত্র জমা দেয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কনোকোফিলিপস'র সঙ্গে ১০, ১১, ১৫, ১৬, ২৯, ২১, ১২ এবং ১৭ মোট আট বস্নকের জন্য চারটি পিএসসি স্বাক্ষরের সুপারিশ করে। পরের বছর ২৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ১০ এবং ১১ নম্বর বস্নকের জন্য পিএসসি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয়। তবে এ দুই বস্নকের কিছু অংশের মালিকানার বিষয়ে ভারত ও মায়ানমারের আপত্তি থাকায় চুক্তি স্বাক্ষরে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গতবছরে শেষের দিকে কনোকোফিলিপস'র সঙ্গে একটি খসড়া পিএসসি অনুস্বাক্ষরিত হয়।

এরপর মতামতের জন্য এটা আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠায় জ্বালানি বিভাগ। আইন মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২৭ মার্চ চূড়ান্ত মতামত দেয়। গত ২৩ মে অর্থনৈতিক সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি কনোকোফিলিপস'র সঙ্গে পিএসসি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয়। গত ৬ জুন তা মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পায়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.