মাহাবুবুর রহমান
মহাজোট সরকার সৃষ্ট সংঘাতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পুরো জাতি। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত—সব শ্রেণীর মানুষ এখন দু’ভাগে বিভক্ত। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নাগরিকদের এমন বিভক্তিতে মহাসঙ্কটে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতি দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তাদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বহীনতায় সঙ্কট ক্রমে বাড়ছে।
পাড়া-মহল্লায় পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়া হচ্ছে। দ্রুত রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে বিভক্তি কমিয়ে সঙ্কট উত্তরণের আহ্বান জানান তারা।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল, শাহবাগ আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিতর্ক, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং বিরোধী দল দমনে সরকারের যুদ্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে পুরো জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মূলত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের পথ ধরে শুরু হওয়া সঙ্কট আরও ঘনীভূত করেছে শাহবাগ আন্দোলন। সরকার নানাভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে দেশের মানুষকে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলাম ও স্বাধীনতাকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বানিয়ে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। শাহবাগিদের পক্ষ-বিপক্ষ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষ-বিপক্ষ, সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে সব শ্রেণীর জনগণ এখন বিভক্ত। বিভক্তি ও রক্তপাতকে আরও তীব্র আকারে নিতে এবার পাড়া-মহল্লা-ইউনিয়ন ও থানা-জেলায় কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে ‘সন্ত্রাস’ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করছে। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘কমিটি ফর পাবলিক সেফটি’ গঠন করছে।
‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ’ ও ‘জনগণের নিরাপত্তার’ নামে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে গৃহযুদ্ধের আভাস হিসেবে দেখছেন অনেকে।
স্বাধীনতার ৪২ বছরে বাংলাদেশের মানুষের বিভক্তি ও সাম্প্রতিক সংঘাতের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ওআইসি, বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ইকোনমিস্ট, এশিয়ান হিউম্যান রাইটসসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-কে অবমাননা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়, শাহবাগে ব্লগারদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন বাম ছাত্রসংগঠনের অব্যাহত ফ্যাসিবাদের চর্চা, মুসল্লিদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি ও হত্যা, সারাদেশে গণহত্যা, শহীদ মিনার, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা গত প্রায় এক মাস ধরে দেশকে অস্থির করে রেখেছে। স্বাধীনতার পর পুলিশের গুলিতে এত বেশি সংখ্যক মানুষের হত্যার ঘটনাকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ‘গণহত্যা’ অভিহিত করে এবং অবিলম্বে প্রতিবাদী মানুষের ওপর পুলিশের গুলি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। বিএনপি আরও অভিযোগ আনে যে, সমগ্র জাতিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে সরকার।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলাম ও স্বাধীনতাকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বানিয়ে সরকার মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে বলে অভিযোগ আনে দলটি।
কিন্তু, বিরোধী দলের এ অভিযোগ ও উদ্বেগ কোনো পাত্তাই দেয়নি বরং রাজপথে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনায় জাতীয় সংসদে পুলিশকে প্রশংসা করা হয়। আর প্রতিবাদ দমনে সারাদেশে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যৌথ এ কমিটি এরই মধ্যে গঠন শুরু হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে পাড়া-মহল্লায় পাল্টা কমিটি গঠন করছে বিএনপি।
ফরাসি আন্দোলনের সময়ে ফ্রান্সে যেভাবে জনগণের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘কমিটি ফর পাবলিক সেফটি’ গঠন করা হয়েছিল, বিএনপিও সে আদলে কমিটি গঠন শুরু করেছে।
এতে জাতির বিভক্তি ও সংঘাত আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদরা। এ বিভক্তি ও সঙ্কটে দেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ভাষাসৈনিক ড. আবদুল মতিন, ভাষাসৈনিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট চিন্তক এবং কবি ফরহাদ মজহার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। বিভক্তি ও সংঘাতের পথ থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধানের জন্য তারা রাজনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসতে হবে।
আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে একটি সমাধানে আসতে হবে। সঙ্কট সমাধানে সংসদে আলোচনার আয়োজন করতে দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এসে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—কার অধীনে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করতে হবে। এখনই উপযুক্ত সময়। এখন সরকার ও বিরোধী দলকে মিলেমিশে আলোচনা করে এটি ঠিক করতে হবে।
গণতন্ত্রের পথে এগোনোর জন্য সরকার ও বিরোধী দলকে সমঝোতায় পৌঁছতে আহ্বান জানান তিনি।
বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক ড. আবদুল মতিন বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ সঙ্কটে পড়েছে। ক্ষমতার মসনদে বসে সরকার নির্যাতকের ভূমিকা পালন করছে। শোষক শ্রেণীর ক্ষমতার লড়াইয়ে আজ এ সঙ্কট উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের লড়াই গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের মুক্তি নেই।
বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দিন উমর বলেন, এখন শাসক শ্রেণীর দুই অংশের মধ্যে লড়াই চলছে।
তারা দেশকে চরম সঙ্কটে ফেলেছে। নিজেদের ক্ষমতাকেন্দ্রিক সঙ্কটের সঙ্গে জনগণকেও তারা সম্পৃক্ত করে ফেলেছে। একপক্ষ মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালালে, অন্যপক্ষও পাল্টা একই কাজ করছে। তাদের কাজ অনেকটা, আগের আমলের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মতো। জনগণের এক অংশকে নিয়ে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শাসক শ্রেণী জনগণকে বিভক্ত করে পাল্টাপাল্টি কমিটি করছে। এতে জনগণের দুর্দশা বাড়বে। মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, নানা ইস্যুতে দেশের মানুষকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে দু’পক্ষে সংঘর্ষ হচ্ছে। রক্ত ঝরছে। বিভক্তির রকমফেরও অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ, দরিদ্র বনাম দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি বড়লোক, রাজনৈতিক দলাদলির পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে মানুষ আজ বিভক্ত।
এর মধ্যে দুটি বৃহত্ দল পাড়ায়-মহল্লায় পাল্টাপাল্টি কমিটি করলে তা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করবে। একদল অন্যদলকে মারবে, মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। মূলত এ কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছিল শাহবাগের অর্বাচীনদের মাধ্যমে। আর তা প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করলেন, বাস্তবায়ন করছেন। বিরোধী দলও পাল্টা কমিটি করছে।
এটা কারও জন্য শুভ হবে না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলকে এ রক্তাক্ত পথ পরিহার করে সমাঝোতায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংলাপ ও আলোচনাই শান্তির পথ। এ পথে ফিরতেই হবে। সরকারকে আলোচনায় ফেরাতে বিরোধী দলকে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রদার্শনিক অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের সঙ্কট ক্রমেই গভীর হচ্ছে। রাজপথে সরকারি বাহিনী গুলি করে যেভাবে মানুষ হত্যা করছে, তা জনগণের জন্য মারাত্মক হুমকির। গ্রামগঞ্জে সংঘর্ষ হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূলে যখন রাজনৈতিক বিভক্তি দেখা দেয়, তখন তা গৃহযুদ্ধের আভাস দেয়। পাড়া-মহল্লায় পাল্টাপাল্টি কমিটির ফল অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিশিষ্ট চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার বলেন, দৃশ্যত যে সঙ্কটের কথা বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রকৃত সঙ্কট আরও অনেক গভীর। রাজনৈতিক সঙ্কটের রক্তারক্তি নিয়ে সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছি, কিন্তু রাজনৈতিক বিভক্তির আড়ালে যে পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহাসঙ্কটের সৃষ্টি করা হয়েছে, তা থেকে উত্তরণ অনেক কঠিন। তিনি বলেন, দেশে এখন ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় সরকারের দুর্নীতি-দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। লেখক, সাংবাদিক, সম্পাদক যারাই সরকারের কুকীর্তি প্রকাশ করেন কিংবা সরকারকে সমালোচনা করেন সরকার তাদের ধরে নিয়ে যায়, জেলে পাঠায়, অত্যাচার-নির্যাতন করে, মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
সরকার কোনো বিক্ষোভ মিছিল করতে দেয় না, পুলিশ দিয়ে পেটায়, টিয়ারগ্যাস মারে। আর এখন দেখা যাচ্ছে হত্যা করার জন্য মানুষের বুকে তাক করে গুলি ছোড়ে। বিরোধী দল শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার চেষ্টা করলেও তাদের পিটিয়ে তাদের অফিসের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়। জনগণ অবাক হয়। যাকে তারা তাদের জাতীয় সংসদে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন, তাদেরও পুলিশ রাস্তায় ফেলে পেটায়।
গুলি করে আহত করে। রাজনৈতিক নেতারা গুম হয়ে যায়। পুলিশ ও র্যাব কাউকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিযোগে ধরলে তাদের কোনো বিচার না করে গুলি করে মেরে ফেলে। একে বলে ক্রসফায়ার।
ফরহাদ মজহার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে পাড়া-মহল্লায় ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ করা হচ্ছে।
কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে যে, এ কমিটি মূলত বিরোধী দল-মত দমনে কাজ করবে। গণহত্যা হলেও তার প্রতিবাদ করা যাবে না। তাহলেও গুলি চলবে। কোনো বিরুদ্ধ মত থাকতে পারবে না। ফরহাদ মজহার বলেন, এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো রাজনৈতিক সমাধানের দিকে যাচ্ছেন না, পরিস্থিতিকে আরও রক্তাক্ত ও ভয়াবহ করে তোলারই পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে একটি ভয়াবহ রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে নানা কৌশলে জাতির বিভক্তি রেখাকে আরও বড় করে তুলেছেন। প্রতিপক্ষকে দমন করতে পাড়ায়-মহল্লায় কমিটি গঠন করছেন। বিরোধীরাও পাল্টা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের পাল্টাপাল্টি কমিটি পরস্পরকে আরও মুখোমুখি করবে।
প্রতিরোধের স্পৃহা তৈরি করবে। কোনো পক্ষ ধৈর্য হারালে সংঘাত আরও বাড়বে। সঙ্কট গভীর হবে। তিনি বলেন, রাজপথে সংঘাত কারও জন্য ভালো হবে না। জনবিচ্ছিন্নতা কাটাতে সরকার যেসব কৌশল গ্রহণ করছে, বিরোধী দলকে আরও কার্যকর কৌশল নিতে হবে।
সরকার শাহবাগ আন্দোলনের আদলে রাজনীতিকে একাত্তরে নিয়ে গিয়ে ফায়দা হাসিল করছে। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের আদর্শের আলোকে একাত্তরের সিঁড়ি বেয়ে আধুনিক বাংলাদেশের ধারণার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে জয়ী হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।