হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায় ইতোমধ্যে আমরা সবাই জেনে গেছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রুমানা মনজুর তার স্বামী হাসান সাইদের হাতে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হাসান শুধু রুমানাকে মেরেই ক্ষান্ত হননি আঙুল দিয়ে তার দুই চোখ তুলে ফেলারও চেষ্টা করেছেন। কি বীভৎস! ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। মানুষ এতটা পাষণ্ড হয় কি করে! বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে আরও জানলাম, হাসান রুমানাকে তাদের ৫ বছরের মেয়ের সামনেই নির্যাতন করেছেন! এই বাচ্চা মেয়েটা কি কখনো তার প্রিয় আম্মুর উপর অত্যাচারের এই ঘটনা ভুলতে পারবে? সে বেড়ে উঠবে, বড় হবে...কিন্তু তার চেতনায় এ বিষয়টা নানান কুৎসিত অনুভূতির জন্ম দিবে...অথচ এটা নিশ্চয়ই কাম্য ছিল না।
স্ত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখার মত মধ্যযুগীয় মানসিকতা থেকে আমরা অনেকেই এখনো বের হয়ে আসতে পারি নি।
স্ত্রীর সাফল্য যে স্বামীর অন্তরজ্বালার কারণ হতে পারে এই ঘটনা তা আবার প্রমান করল। ১০ বছর ধরে রুমানা নিরবে তার স্বামীর নানা নির্যাতন সয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে আমি বলব এত ভাল মানুষ হয়ে উনি ভুল করেছেন। জেনে শুনে বিষ বৃক্ষ বাড়তে দেয়া কখনোই ঠিক নয়।
হাসান যে অপরাধ করেছেন তার কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিৎ।
সে যেন কোনোভাবেই পার না পেয়ে যায়। তার ছবি এমনভাবে প্রচার করা উচিৎ যেন সবাই এই জানোয়ারটাকে চিনে রাখতে পারে আর ওর মুখে থুতু ছিটাতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।