আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলবায়ু তহবিলের স্বচ্ছতা চাই।

আমরা জানি যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। ভৌগলিক অবস্থান, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অপরিক্লপিত লবন পানি বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল কে মারাত্নক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন করে তুলছে। এ এলাকার এ সমস্যা দেশের অন্য এলাকার মত নয়। একদিকে লবন পানির আগ্রাসন বাড়ছে অন্যদিকে লবন পানির চিংরি চাষ আমাদের দুর্যগকে আরোও বেগবান করে তুলেছে। আইলা উপদ্রুত মানুষ এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি।

প্রতিদিন সকালে এক কলস খাবার পানির জন্য চৈত্রের দুপুরে লাইন দিয়ে দাড়িঁইয়ে থাকতে হয়। কৃষি থেকে উত্তখাত হোয়া মানুষ সুন্দর বনের উপর নির্ভরশিল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে সুন্দরবন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে, সুন্দর বনে বাঘ মানুষে সংঘাত বেড়েছে বহুগুন। অন্য দিকে জলবায়ু পরিবর্তইন জনিত দূর্যোগে এর কারনে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল মানুষের ব্যবহারের অনুপোযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। বরাবরই এই এলাকা ছিলো অবহেলিত।

৯০ দশকের আগে সরকারী কর্মকর্তাদের শাস্তি দ্বরুপ এ এলাকায় পোস্টিং দেয়া হতো। সরকার প্রতি বছর কিছু বৈদেশিক মুদ্র ওড়ড়জ়োণ করে চিংড়ি রপ্তানী করে। কিন্তু এখণ ঠেকে ড়োপ্টাণি আয়েড় কোন অংশই এখনো বিনিয়োগ করা হয়নি। সরকার যদি চিংড়ি থেকে এর লাভ ও ক্ষতি নি৯রুপন করে তাহলে দেখা যাভে এটি কোন লাভজনক চাষ নয়। চিংড়ির রপ্তানীর আয়ে শহরের রাস্তা ঘাট ঊন্নয়ন হয়, মন্ত্রী এম পি দের বেতন ভাতা বাড়ে, কিন্তু ঊপকূলীয় এলাকায় মানুষের দুর্গতির কোন সমাধান হয়না।

দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ৫০ লক্ষ মানুষের প্রতি সরকারের চরম অবহেলা, বঞ্চনা ও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে লিডার্স, প্লানেটার মুভমেন্ট, বাপা এর পক্ষ থেকে একটি পদযাত্রার এর আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৭ই মে থেকে ২০১১ ব্যাপী Imatter march জলবায়ু পদযাত্রা শুরু হয়েছে। দক্ষিন পশিমাঞ্চলের মানুষের এই দাবীর সাথে একাত্নতা ঘোষোনা করেছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী জনাব নাসিরউদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী ও বেলার নির্বাহী পরিচালক রেজোয়ানা হাসান, লেখক দিনু বিল্লাহ প্রমুখ। দাবী সমূহঃ ১. উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টারের ব্যাবস্থা করতে হবে। ২. উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দ্রুত পূন্ররবাসন করতে হবে।

৩. উপকূলীয় এলাকায় কৃষিভিত্তিক অভিযোজনের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. সামুদ্রিক এলাকায় জলোচ্ছাস রোধে সক্ষম উচুঁ বাঁধ নির্মান করতে হবে এবং চরাঞ্চলে বনায়ন করতে হবে। ৫. সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা মানুষের প্রাকৃতিক ঢাল। এর সুরক্ষা ও এর উপর নির্ভরশীল বনজীবিদের রক্ষার জন্য আশু পদক্ষেপ নিতে হবে। ৬. সরকারী উদ্যেগে উপকূলীয় এলাকায় খাবার পানি নিশিত করতে হবে।

এবং যথেষ্ট পরিমান পানি সংরক্ষানাগার, পুকুর খনন এবং পি এস এফ নির্মান করতে হবে। ৭. শধু অভিযোজন নয়, সেই সাথে রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীন নদী, পানি, পরিবেশ, কৃষী, জ্বালানী,পরিবহন , বন প্রভৃতি সকল নীতিমালা সংস্কার ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮. জলবায়ু এর কারনে উপকূলীয় এলাকায় মানুষ বেশী ক্ষত গ্রস্ত হয় সবার আগে। তাদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে কারন তারাও দেশের নাগরিক। ৯. চিংড়ি আয় থেকে বাজেটে শতকরা কত এবং দেশের শতকরা কত তার কারনে আজ হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে তা লক্ষ্য করতে হবে।

১০. লবন পানি চিংড়ি চাষ উপকূলীয় এলাকার মানুষদের ক্ষতির সম্মুখীন করে এবং তারা দিন দিন সর্ব স্বান্ত হয়ে পড়ছে। দক্ষিন পশিমাঞ্চলের ৫০ লক্ষ্য মানুষের জীবন নিরাপত্তা এর জন্য কৃষি জমিতে লবন পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি ভাষ বন্ধ করতে হবে। (অনুলিখিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.