আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিন্তু তারা বাংলাদেশী HC নিমচন্দ্র ভৌমিকের গাড়ীতে ভারতীয় পতাকা উত্তোলনে কোন দোষ পায় না!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক আজকে পত্রিকায় একটা শিরোণাম দেখলাম; যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখতে চাই না Click This Link গতানুগাতিক ভাবে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ভাঙিয়ে স্রেফ জ্বালাময়ী কথামালা। যার তথ্য-প্রমাণ, যৌক্তিকতা অনেক পর্যালোচনা সাপেক্ষে। কারণ বর্তমানে ১৯৭১ সংঘটিত অপরাধের জন্য গঠিত ICT হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য মোটেও যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়। কারণ এই সকল বাঙালী অপরাধীরা হুকুমের গোলাম মাত্র। তাও নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ এবং ন্যায্য বিচার ব্যাতীত কাউকে দোষী বলা যথাযথ নয়।

কারণ এখানে ক্ষমতার রাজনীতিও ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। বিগত সাড়ে ৪ বছরে হাসিনা গং চুরি, বাটপারি, র্দূনীতি-হরিলুট, জুলুম এবং ভারতের দালালী ব্যাতীত তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি। এই সময়ে সাধারণ মানুষের আয় দ্বিগুণ হলেও ব্যায় বেড়েছে তিন গুণ। তাই এখন মানুষ সেই ১৯৭২-৭৫ বাদে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক টানাটানির মধ্যে আছে। কেবলই আকাশ চুম্বি আশ্বাস যার প্রাপ্তি খুব সামান্যই।

প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে কোন সামঞ্জস্যই নাই যাকে বলে "পর্বতের মুসিক প্রসব"! হাসিনার সরকার শুরু থেকে এসেই র্দূনীতি-লুটপাট ও ভারতের সেবা করে জনপ্রিয়তা হারাবে জেনেই ইচ্ছা করেই এই মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারকে দেড়ী করে শুরু করে। ২০০৯এ না করে ২০১০ এর মাঝামাঝি শুরু করে। যাতে পরবর্তীতে অন্য সকল বিষয়াদিকে ধামাচাপা দেওয়া যায়। এখন যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটি সামনে চলে আসে তখনই এটা রুখা সহ BAL গং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য এই ২০১৩র ফেব্রুয়ারীতে শুরু হয় শাহবাগ সমাবেশের নামে গণ-জাগরণ মঞ্চ। আর যায় কই আওয়ামী-বাকশালী সমর্থকের সেই কি তেজ।

বিএনপিকে রীতিমত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য যেন বানের পানিতে ভেসে আসা একটি রাজনৈতিক দল। তারপর যেই প্রথমে চারটি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বড় ব্যাবধানে পরাজিত হয় তাতেও হাসিনা ও তথাকথিত গণ-জাগরণ মঞ্চ গং এটাকে আমলে নিতে নারাজ। এর পর এই মাসে গাজীপুর মেয়র নির্বাচনকে রীতিমত ডু অর ডাই বানিয়ে ফেলে আওয়ামী-বাকশালী গং। আলীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেই বসেন যে "গাজীপুর হল আওয়ামীলীগের জন্য দ্বিতীয় গোপাল গঞ্জ"! এই নির্বাচনকে শুধু গাজীপুরের মেয়র নয় বরং সবাই এটাকে জাতীয় নির্বাচনের মতই দেখল; ৬ই জুলাই ২০১৩র গাজীপুর মেয়রের নির্বাচনে হেরেও আওয়ামী-বাকশালীদের দাম্ভিকতা যায় না। বরং নবোউদ্যমে ঝাপিয়ে পড়ে।

আবার সেই ৭১এর অপরাধের কার্ডই শেষ ভরসা। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী-বাকশালী গংদের সেই পুরোনো কাসুন্দি যে বিএনপি-জামাত জোট যেন পরবর্তীতে ক্ষমতায় যেয়ে যুদ্ধাপরাধী তথা ৭১এর অপকর্মের সাথে জড়িতদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা না দেয়। এরা হয় অজ্ঞাত তা না হলে জ্ঞানপাপী। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদেই হাসিনা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয় নূরুল হককে। এই নূরুল হক ১৯৭১এ তার এলাকায় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিল।

তাইলে দেখা যায় যে আলীগই প্রথম ৭১এ অপকর্মে জড়িত কারো গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়। কিন্তু আওয়ামী-বাকশালী গং ও তাদের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক ও কলামিষ্টরা এই বিষয়ে টু শব্দটিও করে না। এরপর বিভিন্ন ভাবে প্রমাণ পাওয়া যায় এই মেয়াদে হাসিনার নিযূক্ত নেপালের কাঠমন্ডস্থ সাবেক বাংলাদেশী হাইকমিশনার নিমচন্দ্র ভৌমিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠা সত্ত্বেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। অভিযোগে প্রকাশ; খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও একাধিক তদন্ত দলের প্রতিবেদনে নিম চন্দ্রের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রমাণ মিলেছে। এর পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এরপর বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে বাঁচানোর জন্য তত্পরতা জোরদার হয়। আর তাদের চাপে পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরকার সমালোচিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিকের নেতৃত্বে এ তদন্ত দল পাঠানো হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেপালে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক নেতা নিম চন্দ্র ভৌমিক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল কাঠমান্ডু সফর করে গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন দেয়।

প্রতিবেদনে অন্তত ১৮টি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, যাতে রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নেপালের পররাষ্ট্র দপ্তর অনানুষ্ঠানিকভাবে নিম চন্দ্রকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই প্রতিবেদন দেওয়ার পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও নিম চন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। নিম চন্দ্রের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে গত ১৯ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শিগগির ঢাকা থেকে আরেকটি তদন্ত দল নেপালে যাচ্ছে।

নিম চন্দ্র ভৌমিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল কাঠমান্ডু সফর করে গত মে মাসেই একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে অন্তত ১৮টি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, যাতে রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো— ভূলুণ্ঠিত দেশের পতাকা: ২০১০ সালের ১৭ মার্চ হোটেল ইয়াক অ্যান্ড ইয়াতিতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিম চন্দ্র ভৌমিক নেপাল সেনাবাহিনীর বাদক দলকে বাংলাদেশ ও নেপালের পাশাপাশি ভারতীয় জাতীয় সংগীত বাজানোর নির্দেশ দেন। কারণ, সেখানে অভ্যাগতদের মধ্যে ছিলেন মিত্র বাহিনীর সদস্য জেনারেল জ্যাকব। পরদিন নিম চন্দ্র তাঁর নিজের গাড়িতে ভারতীয় পতাকা লাগিয়ে জ্যাকবকে নিয়ে বিভিন্ন সভায় যান।

Click This Link http://www.youtube.com/watch?v=BZ83LRID_Qo এ ছাড়াও র্দূনীতি ও অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সাথে লুলপনা চেষ্টার অভিযোগতো আছেই; এখন প্রশ্ন হল শপথ নিয়ে কিভাবে সে ভারতীয় জাতীয় সংগীত এবং রাষ্ট্রের প্রদত্ত গাড়ীতে ভারতীয় পতাকা উড়ায়? তাকে বাংলাদেশী হাইকমিশনার হিসেবে প্রত্যাহার করা হলেও আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হছে বলে আমার জানা নাই। বাংলাদেশী হাইকমিশনার হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় পতাকা উত্তোলন রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল! আবুল হোসেন, সুরুঞ্জিত সেন গুপ্তদের মত র্দূনীতি করে পার পাওয়া এবং আশরাফ, নাহিদের ভারত ও বাংলাদেশকে এক দেশ বলার থিউরীতে এই সব কাহিনী নিমচন্দ্রের ভারতীয় দালালীর সাথে পরিপূর্ণ ভাবে মিলে যায়। অথচ এই সমস্ত ঘটনা আবু সাঈদ খানের মত বাকশালী ও ভারতীয় তাবেদার গং দেখেও না দেখার ভান করে। ঘোল পানিতে মাছ শিকার করে কিভাবে বিএনপির ১৮ দলীয় জোটকে ভোট হতে বিরত রেখে BAL গংকে কিভাবে পুনরায় ক্ষমতায় আনা যায় সেই চিন্তায় মশগুল এরা। আবু সাঈদ খান গং আবার প্রমাণ করল যে আওয়ামী-বাকশালীদের চুরির উপর শিনা জুড়িতে তারাই সেরা!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.