আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারো প্রমানিত হল ভারতীয় দুতাবাস ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রি সমিতি চালায় না !

নিবৃতে আছি আমি ঘটনা : গত ২ জুন ২০১১ ইং তারিখে নরসিংদীতে এস এস সি তে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। স্থান- ড্রিম হলিডে পার্ক। অনুষ্ঠানটির আয়োজক আমরা নরিসংদীবাসী নামক একটি সংগঠন। এখানে বলে রাখা ভাল যে এটা হচ্ছে নরসিংদী জেলা অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান। যাহা সম্পূর্ন একটি অরাজনৈতিক ভাবে পরিচালিত হয়।

এবারের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য জনাব আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্যার। বেশ বড়সড় কলেবরে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে। এখানে বিশেষ অতিথী হিসেবে আমন্ত্রন করা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার শ্রী সঞ্চয় ভট্টাচার্য মহোদয়কে। সব কিছুই ঠিক ঠাক আছে। সমস্যা বাধাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সমিতি।

যেহেতু ডেপুটি হাই কমিশনার মহোদয়ের সাথে সংগঠনের সরাসরি যোগাযোগ নাই বিধায় বাধ্য হয়েই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাহায্য গ্রহন করে স্থানীয় মৈত্রি সমিতির। কিন্তু যখন অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড স্থানীয় মৈত্রি অফিসে দিয়ে দূতাবাসে পৌছে দেয়ার অনুরোধ করা হয় তখনই মৈত্রি সমিতির সভাপতি বেশ উত্তেজিত অবস্থায় বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকে। সরাসরি কোন কথা না বলে শুধু বলতে থাকে দাওয়াত কার্ডে মৈত্রি সমিতির নাম কোথায়। এখানে মৈত্রি সমিতি নাই কেন? হাই কমিশনার আসবেনা। যা হোক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাদেরকে আসস্থ করার যথেষ্ট চেষ্টা করে এবং কথা দেয় আমাদের এই অনুষ্ঠানের প্রকাশনায় সহ অনুষ্ঠানের ব্যানারে আপনাদের নাম থাকবে।

কিন্তু আপনারা দয়া করে বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করুন। কিন্তু আসলে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তারা চাইছিল মৈত্রি সমিতির সভাপতি কে অতিথী করা হোক। নতুবা তারা ডেপুটি হাই কমিশনার মহোদয়কে আসতে নিষেধ করবেন। যথারীতি তাই করা হলো।

তারা হাইকমিশনে দাওয়াত কার্ড তো পৌছায়নি বরং লিখিত ভাবে ডেপুটি হাই কমিশনার মহোদয়কে নরসিংদীতে না আসতে অনুরোধ করেন। এই অনুষ্ঠানটি নরিসংদী জেলাতে বেশ ভিআইপি অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। যেখানে স্থানীয় অনেকে অতিথী হিসেবে থাকতে না পারলে বিরুপ মন্তব্য করে থাকে। করবে এটা খুবই সাধারণ ব্যপার। যা হোক অবশেষে ডেপুটি হাই কমিশনার না আসলে ও ভারতীয় হাই-কমিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারী উপস্থিত থেকে প্রমান করে যে ভারতীয় দূতাবাস ভারত সরকার চালায়।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি সমিতি নয়। যেখানে দুই দেশের মৈত্রি সমিতি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে সেখানে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ভারতীয় দূতাবাসের নাম ব্যবহার করা কতটুকু যৌক্তক সেই প্রশ্ন নাইবা করলাম। কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে আমার মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সেই সভাপতি কতটুকু নীচু মনের যে নিজের সার্থ হাসিলের জন্য একজন ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারের মান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে একটুও পিছপা হলো না। আবার তিনি এই সমিতির স্থানীয় প্রধান। যা হোক ধন্যবাদ ভারতীয় দূতাবাসকে এই জন্য যে তাদের মান-সম্মান তাদেরকেই রক্ষা করতে হলো।

যেটা মৈত্রি সমিতি নিজেদের সম্পদ মনে করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।