বুধবার রাতে শহরের মাড়োয়ারিপট্টিতে হেনরীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে, যার একটিতে মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবুকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জান্নাত আরা হেনরী বলেন, “ বিষয়টি সেলিম আহম্মেদের পারিবারিক। কিন্তু আমার বাড়িতে এসে কেন মারপিটের ঘটনা ঘটানো হলো তা বুঝতে পারছি না। ”
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগ নেতা সেলিমের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই মামুনুর রশিদ মামুনের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল।
সম্প্রতি সেলিমের ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল বড় ভাইয়ের বিপক্ষে গেলে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
জামিনে বেরিয়ে দুলাল ভাইদের সঙ্গে আরো দ্বন্দ্বে জড়ায়।
দুলাল ও মামুনকে ধরতে সেলিম তার অন্য ভাইদের নিয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে জান্নাত আরা হেনরীর বাসায় যান। তখন হেনরীর বাসার ড্রয়িং রুমে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায় সেলিম সেখান ফেরার সময় তাকে লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ছোড়া হয়।
এতে বাঁ হাত ও পায়ে এবং শরীরের কয়েকটি স্থানে ছররা গুলি লেগে সেলিম আহত হন। তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার ও পৌর কর্মচারী আল-আমিন এবং সেলিমের ছোট ভাই দুলাল ও চাচাতো ভাই মামুন আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই বাড়ি থেকে দুলাল ও মামুনকে আটক করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় হেনরীর স্বামী শামীম তালুকদার লাবুর দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা সেলিম, তার ভাই সুলতান মাহমুদ ও আলালকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সেলিমের ভাই সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে জান্নাত আরা হেনরী, তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবু ও মামুনের নামে অন্য একটি মামলা করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।