আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বহুত রকমের ঝারি খাইছি,তবে এরকম ঝারি প্রথম খাইলাম...

ব্যক্তিগত প্যাচাল পছন্দ না হলে বের হয়ে যান আমার ব্লগ থেকে। :) ছোটোবেলা থেকে অকাম-কুকাম কম করি নাই। পুরস্কার হিসেবে ঝারি (বকা খাওয়া) ও খাইছি বহুত। আব্বু শুধু বলে পড়,পড়,পড়। এত পড়াশোনা মানুষ করে নাকি!!!! বাপরে বুঝাতে পারি নি যে,বেশি পড়লে হাত পা ছিলে যাবে।

বাপ একদিন বলেই ফেললো,তোকে দিয়ে পড়াশোনা কিছু হবে না। নিউ মার্কেটে একটা দোকান কিনে দেই,তারপর বিয়ে করে সংসার কর। (কলেজ লাইফে বাপের এই প্রস্তাব টা খুব পছন্দ হয়েছিল কিন্তু সাহস করে হা বলতে পারি নাই ,বলতে পারলে আজ আর একা থাকা লাগত না) আম্মু বলে,খাওয়া দাওয়া করিশ না কেন?সারাদিন এত খেলাধুলা কেন?(মায়ের ঝারি কিছু মনে হয় না। ) ছোট বোনকে পড়াতে গিয়ে বকা দিতাম পড়া না বোঝার কারনে। কিছুক্ষন পড় উল্টা নিজেই রেগে গিয়ে বলত,"তোর মতো মাষ্টার আমার দরকার নাই,বুঝাতে পারে না আবার উল্টা ঝারি।

"বলে বই খাতা গুছিয়ে নিয়ে চলে যেত,যাওয়ার আগে পুরস্কার সরূপ পিথে ধাস করে থাপ্পর মেরে যেত। এখন বড় হয়ে ছোট বোনের মার খুব মিস করি। প্রেমিকার ঝারি তো সবসময় খাই,এটা কর নি কেন?অটা করছ কেন?একটা কাজ আজ করে খুশি,কাল করলে মহা ঝারি?উটতে বসতে ঝারি। সয়ে গেছে,এখন কিছু মনে হয় না। রেগুলার ভাত,পানি খাওয়ার মতো প্রেমিকার ঝারি খাই।

আজ খাইলাম সেই নতুন রকমের ঝারি। ছাত্রজীবন শেষ করার আগেই চাকুরী পেলাম। জইন করে পরলাম বিপদে। থিসিসের কাজে আবার ক্যম্পাসে যেতে হল। বেশি চালাকি করে বস্কে না জানিয়ে দশদিন অফিস মিস।

চারদিন অফিস করে দশ দিন মিস। আজ অফিসে যাওয়ার পড় বস ডেকে দিলো ইচ্ছামত। কি যে দিলো রে ভাই। কান ঝালাপালা। এমন ঝারি খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে ত্রিশ মিনিট মনিটরে ক্রসার এর রাইট বাটন ক্লিক করছি আর রিফ্রেশ মারছি।

এমন ঝারি জীবনে প্রথম তাই হজম করতে সময় লাগছে। এত কিছুর পড় ও যে চাকুরী এখন ও আছে তাতেই খুশি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।